নির্বাচনি প্রচারে নেমেছেন নওয়াজ শরীফ

৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে নির্বাচন। তার আগে শেষবেলার প্রচারে নেমেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং মুসলিম লিগের প্রধান নওয়াজ শরীফ। সম্প্রতি পাকিস্তানের আদালত জানিয়ে দিয়েছে, নওয়াজ ভোটে অংশ নিতে পারবেন। ফলে দেশটির জাতীয় নির্বাচনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কোনো বাধা নেই তার।
মেয়ে মারিয়াম নওয়াজের সঙ্গে সোমবারই প্রথম প্রচারে নামেন নওয়াজ। ওকারা থেকে তার প্রচার শুরু হয়েছে। শরীফের এবারের প্রচারের একটাই লাইন-- নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমাতে হবে। চরম মূল্যবৃদ্ধির কবলে পাকিস্তান। জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। এই পরিস্থিতিতে মারিয়াম এদিন জানিয়েছেন, জিনিসের দাম কমানোই তাদের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য।
চার বছর লন্ডনে স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন নওয়াজ। কারণ সে সময় দেশে থাকলে গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী গত বছরেই দেশে ফিরেছেন। গত ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের আদালত জানিয়েছে, তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। তার বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল, আপিল আদালতে তা খারিজ হয়েছে।
অন্যদিকে নওয়াজের প্রধান প্রতিপক্ষ ইমরান খান জেলে। তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খানের বিরুদ্ধেও অসংখ্য অভিযোগ। সম্প্রতি পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তেহরিক-ই-ইনসাফ ক্রিকেট ব্যাটের চিহ্ন ব্যবহার করতে পারবে না। ফলে সমস্ত প্রার্থীর নির্দল হয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে। বস্তুত, রবিবার করাচিতে পিটিআইয়ের একটি মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। সমস্ত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পাকিস্তানের জনমনে ইমরানের সমর্থন এখনো যথেষ্ট। ৭১ বছরের এই ক্রিকেটার-রাজনীতিককে অনেকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এখনো দেখতে চান। ইমরানের দল মনে করে, ইমরানকে মিথ্যা মামলায় জেলে ঢোকানো হয়েছে।
অন্যদিকে নওয়াজ ১৯৯৯ সালে সেনা অভ্য়ুত্থানের ফলে গদি হারিয়েছিলেন। কিন্তু কূটনীতিকদের বক্তব্য, এখন পাকিস্তানের সেনার সঙ্গে তার যথেষ্ট সদ্ভাব। আর পাকিস্তানে সেনা যাকে গুরুত্ব দেয়, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ তার সবচেয়ে বেশি।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
(ঢাকাটাইমস/১৬জানুয়ারি/এমআর)

মন্তব্য করুন