মুক্তি ও শান্তির দূত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন এক নতুন উচ্চতায়

অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ
| আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১০ | প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০১

আমরা ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে রাজনৈতিকভাবে মুক্তি লাভ করে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সফল হয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি ছিল নানা প্রতিবন্ধকতার ঘেরাটোপে বন্দি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে আমাদের না ছিল অর্থ, না ছিল কোনো শিল্প-কারখানা, না ছিল কোনো সম্পদ। মুক্তিযুদ্ধের কারণে আমাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। যুদ্ধের কারণে রাস্তা-ঘাট, কালভার্ট ভাঙা ছিল। সেই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ১০ই জানুয়ারি ১৯৭২ বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসেন। তখন সকলের মনে আশা সঞ্চারিত হয়। বঙ্গবন্ধু দেশের মাটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণতা পায় বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। জনগণের বিশ্বাস ছিল বঙ্গবন্ধু কিছু একটা করবেনই। সেই বিশ্বাসের উপর ভর করে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। কিন্তু পরাজিত পক্ষ বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। তারা লিপ্ত হয় বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশকে উল্টোপথে নিয়ে যেতে সচেষ্ট হয় ষড়যন্ত্রকারীরা।

মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সামরিক সরকারের হাতে ক্রমাগত বাংলাদেশ হারাতে বসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। রাজাকারদের জয়-জয়কার আর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা প্রতিদিনকার খবর হয়ে উঠে সংবাদমাধ্যমে তখন। গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করে সামরিক রাজতন্ত্র কায়েম করেন জেনারেল জিয়া। এরপর জেনারেল জিয়াউর রহমান এক সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার পর সামরিক শাসনের সেই ধারা অব্যাহত রাখেন হোসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। বাংলার মানুষ নীরবে গুমড়ে গুমড়ে কাঁদতে থাকে আবার।

পঁচাত্তরের নারকীয় হত্যাকাণ্ডে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনা বিদেশে থাকার কারণে জানে বেঁচে যান এ সময়। এ সময় যদি তারা দেশে অবস্থান করতেন ঘাতকের বুলেট তাদের কোনোভাবেই রেহাই দিত না। যাহোক, একটা সময় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসার মনস্থির করেন। দেশের মানুষের ভালোবাসা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তসূরি হিসেবে আপামর মানুষের জন্য কাজ করতে, জীবন উৎসর্গ করতে উদ্গ্রীব হয়ে ওঠেন। কিন্তু বাঁধ সাধে সামরিক ব্যারাক থেকে আসা জেনারেল জিয়াউর রহমান। তিনি কোনোভাবেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে আসতে দিতে চান না। জেনারেল জিয়ার ভয় ছিল জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা যদি দেশে ফিরে আসেন এবং জনগণের জন্য রাজনীতি করতে শুরু করেন, তাহলে তার গোপন অভিলাষ কোনোভাবেই পূর্ণ হবে না। এ কারণেই তিনি যতটা সম্ভব শেখ হাসিনাকে দেশে আসতে বাধা প্রয়োগ করেন। কিন্তু এ সময় প্রবলভাবে আন্তর্জাতিক চাপ থাকার কারণে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে অনুমতি দিতে বাধ্য হন জেনারেল জিয়ার সামরিক সরকার।

১৯৮১ সালের ১৭ই মে দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। নির্মমভাবে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর শেখ হাসিনাকে পেয়ে আশার ভেলাটা আবার জেগে উঠে এ দেশের সাধারণ মানুষের হৃদয়ে। কিন্তু এরশাদ সাহেব ও তার তৎকালীন সামরিক দোসররা জেনারেল জিয়াকে খুন করে ক্ষমতার উত্তরাধিকার হন এ সময়। বাঙালির মুক্তির স্বপ্ন আবার বন্দি হয়ে যায় সামরিক শাসনের কারাগারে।

কিন্তু তাতে মুক্তিকামী বাঙালি কোনোভাবেই থামেনি- বলা যায় বাঙালিকে থামানো সম্ভব হয়নি এ পরিস্থিতিতে। অদম্য মুক্তিকামী বাঙালি শেখ হাসিনাকে নিয়ে রাজপথে নামে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে। এ সময় সামরিক জান্তা জেনারেল এরশাদের পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে শহিদ নূর হোসেন, ডা. মিলনসহ অসংখ্য মানুষের প্রাণ যায়, কিন্তু কোনোভাবেই এরশাদের সামরিক সরকার সে আন্দোলন-সংগ্রামকে দমাতে সমর্থ হয়নি। আন্দোলনে যোগ দিয়ে জনতা শেষপর্যন্ত বিজয়ী হয় ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরে এতবড়ো গণজোয়ার আর কখনো কেউ দেখেনি। দেশের সকল মানুষ সামরিক সরকার এরশাদের পতনের জন্য রাস্তায় নেমে আসে। তারা প্রত্যয় গ্রহণ করে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই তারা ঘরে ফিরে যাবে না। এক সময় আন্দোলন-সংগ্রামের স্বাভাবিক গতিতেই স্বৈরাচার হোসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকারের পতন হয়। এই স্বৈরতন্ত্রের পতন হতে দেশের মানুষকে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়েছে দীর্ঘ ১০ বছর।

বলা বাহুল্য, এই দীর্ঘ ১০ বছরের আন্দোলন-সংগ্রাম একটি চূড়ান্ত রূপ লাভ করে গণতন্ত্রের মানস কন্যা শেখ হাসিনা এবং জেনারেল জিয়াউর রহমানের বিধবা পত্নী বেগম খালেদা জিয়ার যুগপৎ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই। স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে একটি সাধারণ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই একটি গণতান্ত্রিক সরকার যাত্রা শুরু করে বলা যায়। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একটি নতুন সরকার পথচলা শুরু করে। কিন্তু খুব বেশিদিন যেতে পারেনি বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরে এই গণতন্ত্রের নতুন মুক্তি প্রক্রিয়া। দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে আবার বাধ্য হয়েই রাজপথে নামতে হয় গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে।

১৯৯৬ সালে বাঙালি আরেকবার মুক্তির স্বাদ পায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের মাধ্যমে। এ সময় বাঙালি ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির চাকা দুর্বার গতিতে চলতে থাকে। কিন্তু আবার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসে প্রতিক্রিয়াশীল পাকিস্তানপন্থি বিএনপি-জামায়াতের ইসলামি মহাজোট। তারা এক নারকীয় কাণ্ড ঘটায় ২০০১-এর অক্টোবরে নির্বাচনে জিতে। ১৯৯৬ সালে তারা যা করেনি ২০০১ সালে তারা সেটাই করে। সেটা হলো তারা পতাকা তুলে দেয় রাজাকারদের বাড়িতে ও গাড়িতে। এ সময় নিপীড়ন নির্যাতন নেমে আসে প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী মানুষদের ওপর, ভয়ংকরভাবে গজিয়ে ওঠে সাম্পদায়িকতার বিষদাঁত। সারা দেশে চলতে থাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের নানা কার্যক্রম। দেশজুড়ে বিতাড়িত হতে থাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমৃদ্ধ সকল কর্মকাণ্ড।

২০২৪ সালে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ সরকার। বলাবাহুল্য, টানা চারবার ক্ষমতায় থেকে শেখ হাসিনা সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়ন করে যাচ্ছে এক দুর্বার গতিতে। শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নকে সর্বোপরি দৃষ্টান্তমূলক উন্নয়ন বলা যায় এ জন্য যে, স্বাধীনতালাভের পর আর কোনো সরকারের আমলেই এতটা উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনা সরকার।

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘দাবায় রাখতে পারবা না।’ অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে- বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি মুক্তি ও শান্তির দূত শেখ হাসিনাকেও কেউই দাবায় রাখতে পারবে না। এর আগে ২০০৪ সালের ২১ই আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে, ২০০৭ সালে তাকে জেলে পুরে কিংবা ১৯৮১ সালের আগে দেশে ফিরতে না দিয়েও তাকে দাবায় রাখতে পারেনি কোনো সামরিক জান্তা। কোনো সরকারই দাবায় রাখতে পারেনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে। জাতির পিতার কন্যার বলিষ্ঠ উচ্চারণ- ‘আমি জাতির পিতার মতো জীবন দিয়ে হলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখবো।’ তাই দেখা যাচ্ছে- কারও চোখ রাঙানিতে থামানো যাচ্ছে না এই মুক্তির দূতকে।

২০২৪-এর ৭ই জানুয়ারি শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি সাধারণ সংসদ নির্বাচন। যারাই অবস্থান নিয়েছিল নির্বাচন বানচালের, যারাই চেষ্টা করেছিল মানুষ পুড়িয়ে বাঙালিকে দাবায়ে রাখতে- তারা দারুণভাবে পরাজিত হয়েছে দেশরত্ন শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবলের কাছে, তার অদম্য শক্তির কাছে। তার এই মনোবলের শক্তি জাতির পিতার ও তার পরিবারে শহিদদের চেতনার গভীর থেকে ওঠে আসা নিশ্চয়ই। সেই অদম্য শক্তি মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের দুর্বার সক্ষমতা ও সামর্থ্য শেখ হাসিনা অর্জন করেছেন মুক্তিযুদ্ধকালীন আড়াই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হারানোর মহান ও সীমাহীন ত্যাগের মধ্যেও।

৭ই জানুয়ারির নির্বাচন ছিল আওয়ামী লীগের জন্য একটি অগ্নিপরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় শুধু গণতন্ত্রের মানস কন্যা শেখ হাসিনাই সফল হননি, পুরো জাতি সফল হয়েছে আমাদের গণতন্ত্রের এই মানসকন্যা ও দেশরত্নের নেতৃত্বে।

নির্বাচনকালীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমি ছুটেছি বিভিন্ন নির্বাচনি এলাকায়। পিরোজপুরের এক মন্দিরে মুগ্ধ হয়ে শুনেছি জননেতা আইনজীবী স ম রেজাউল করিমের সাম্প্রদায়িক ঐক্যের দর্শন ও আহ্বান, আমি বিমোহিত হয়েছি বাঞ্ছারামপুরের জনসভাতে ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলামের মানবকল্যাণ ও মুক্তির স্বপ্নের কথা শুনে। আমি আনন্দিত হয়েছি আধুনিক শিবচরের প্রাণপ্রিয় নেতা মাননীয় চিফ হুইপ জনাব লিটন চৌধুরীর প্রতি এলাকার মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রত্যক্ষ করে। জনগণ তাদের ভালোবাসায় সিক্ত করে নির্বাচিত করেছে তাদের আগামী দিনের নেতাকে- যারা কেবল স্বপ্ন দেখায় না, বরং তারা পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল উপহার দিয়ে স্বপ্ন পূরণ করেছে। আগামী জুনের আগেই চালু হবে ঢাকা-কাশিয়ানী ও গোপালগঞ্জ-খুলনা ট্রেন সার্ভিস। চলন্ত ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েও দুর্বৃত্তরা থামতে পারেনি জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অভিযাত্রা এবং জনতার অপ্রতিরোধ্য গণজোয়ার।

১৬ তারিখ সকালে গণভবনে গিয়েছিলাম প্রবাসী বাঙালিদের সম্মানে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় সভাতে। ২৯টি দেশের প্রায় ১০০০ প্রবাসী সকলকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সময় দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন, কথা বলেছেন। খুশি মনে ফিরে গেছেন নিজ নিজ আবাসে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- এই গণভবন আপনাদের, যেমনটি বলেছেন ৭ই জানুয়ারির বিজয় জনগণের। তাই মুক্তি ও শান্তির দূত শেখ হাসিনাকে হাজার সালাম। মুক্তি ও শান্তির দূত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন এক নতুন উচ্চতায়। বঙ্গবন্ধুর উচ্চারণ ‘তোমরা দাবায় রাখতে পারবা না’- এটারই সত্যতা মিলছে অদম্য নেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি কমিটমেন্ট রক্ষার দৃষ্টান্তে। বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের স্বপ্নকে যেকোনোভাবেই হোক দাবায়ে রাখা যে সম্ভব নয়- এটা প্রতিটি পদক্ষেপে প্রমাণ হচ্ছে। দেশের সকল মানুষের প্রত্যাশা- ‘৭১-এর মতো বিজয় বারবার ফিরে আসবে বাঙালির ঘরে ঘরে এবং সেটা অবশ্যই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্ভরতার হাত ধরে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ আজ একটি স্বপ্ন নয় কেবল, বাঙালি সেটি নির্মাণ করে দৃশ্যমান করে ছাড়বে নিশ্চয়ই।

ফরিদ আহমেদ: অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :