ভর্তি কার্যক্রম জুন মাসের মধ্যে শেষ করতে চাই: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক 

যবিপ্রবি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৮ | প্রকাশিত : ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:২৭

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বপ্নের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে এসে নানারকম ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হয় শিক্ষার্থীদের। তাদের সেসব ভোগান্তির কথা ভেবেই এবং ভর্তি পরীক্ষাকে শিক্ষার্থীদের সামনে আরও সহজভাবে তুলে ধরতেই রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন আব্দুল হামিদ গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার আহ্বান করেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ২৪টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর এবারের ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক করা হয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনকে। তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন রুহুল আমিন

ঢাকা টাইমস: ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্বে যবিপ্রবি, ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে আপনার অনুভূতি কি?

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন: দায়িত্বের অনুভূতি বলে আসলে তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। আমাদের গুচ্ছের নিয়ম অনুযায়ী এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একবার একজন দায়িত্ব পালন করবেন তো আরেকবার আরেকজন দায়িত্ব পালন করবেন। সেই হিসেবে এবারের দায়িত্ব আমার ওপর এসেছে। এখানে আনন্দ বা দুঃখের কিছু নেই। দায়িত্বটাকে আমি দায়িত্ব হিসেবেই দেখছি এবং তা যথাযথভাবে পালন করার জন্য আমি প্রস্তুত।

ঢাকা টাইমস: দায়িত্ব পেয়ে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন কি?

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন: এতোগুলা বিশ্ববিদ্যালয়ের একসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষা হবে এটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জের। তার থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এই ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়কে একসঙ্গে রাখা। গতবার আমাদের সীদ্ধান্ত ছিল, যেভাবে গুচ্ছ হচ্ছে সেভাবেই হোক (২০২৩ সালে)। সামনের বছর মানে এ বছর একক ভর্তি পরীক্ষা হবে। কিন্তু পরে দেখা গেল এবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছেন। পরে গুচ্ছ নিয়ে অনেকটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। পরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কষ্ট ও ভোগান্তির কথা চিন্তা করেই আমরা এই ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সীদ্ধান্ত নেই। এটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জের।

ঢাকা টাইমস: গত কয়েকটি শিক্ষাবর্ষে দেখা গেছে বারবার ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষার্থী না পেয়ে শেষ পর্যন্ত গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েও সবআসন পূরণ করতে পারেনি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গণবিজ্ঞপ্তির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা হারাচ্ছে কি?

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন: গণবিজ্ঞপ্তি দিতে হয়েছে বলে আমার জানা নেই। গতবার কেন্দ্র থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত হয়েছিলো। আর এবার আমাদের সীদ্ধান্ত হলো আমরা ৩০ জুনের মধ্যে ভর্তির সকল কার্যক্রম শেষ করবো।

ঢাকা টাইমস: গতবার আমরা দেখেছি এক বিভাগের শিক্ষার্থী কিন্তু পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছে দূরবর্তী বিভাগীয় শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফলে পরীক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। এবার আপনাদের পরিকল্পনা কি?

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন: গতবারের এটা নিয়ে অভিযোগ করা হলে গুচ্ছের প্রতি অবিচার করা হবে। গতবার শিক্ষার্থীরা যে যেখানে পছন্দ করেছে সে সেখানে পরীক্ষা দিতে পেরেছে। গতবারের আগের বছর একটু সমস্যা হয়েছিলো ওটা আমাদের মাথায় আছে। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।

ঢাকা টাইমস: গুচ্ছভুক্ত বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়মাসের বেশি সময় লেগেছে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা প্রথম সেমিস্টারের ক্লাস শেষ করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলছে। এক্ষেত্রে গুচ্ছের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে যাচ্ছে কি না?

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন: এটা একটা ভালো প্রশ্ন। এই একটা বিষয় নিয়ে আমরা নিজেরা ও ভাবছি। এক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে যাচ্ছে কি না তা নিয়ে আমরা নিজেরাও চিন্তিত। তাই এবারের গুচ্ছটাকে এমন ভাবে সাজাচ্ছি যেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের শিক্ষার্থীরাও ক্লাস শুরু করতে পারে। এ লক্ষ্যেই আমরা গুচ্ছের সকল ভর্তি কার্যক্রম জুন মাসের মধ্যে শেষ করতে চাই।

ঢাকা টাইমস: বিগত বছরে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা আলাদা সময়ে মেধা তালিকা প্রকাশ করায় শিক্ষার্থীরা বিড়ম্বনায় পড়ছে। এটাকে কিভাবে দেখছেন?

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন: এমনটা হয় কি না আমার আসলে জানা নেই। যদি হয়ে থাকে তাহলে আমি সরি। আমরা এটাকে সমন্বয় করবো।

ঢাকা টাইমস: স্যার আমরা দেখেছি ভর্তি কার্যক্রমের সময় যে ভর্তি ফরম পূরণ করা লাগে সেখানে কোনো ভুল হলে পরে আর পূর্নপূরণ করা যায় না এমনকি ভর্তি আবেদন বাতিল ও হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনাদের সীদ্ধান্ত কী হবে?

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন: এ বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটি ভালো জানাতে পারবে। আর এমন যদি হয়ে থাকে তাহলে আমরা সেটা সমাধানের ব্যবস্থা করবো। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সুবিধার কথা চিন্তা করেই কাজ করবো এবং সেটা আইনের মধ্যে থেকেই। আইনের বাইরে গিয়ে আসলে কিছু করার সুযোগ থাকে না।

স্যার, ঢাকা টাইমসকে সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন: ঢাকা টাইমসকেও ধন্যবাদ।

(ঢাকাটাইমস/২১জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :