শীতবস্ত্র পেয়ে কাঁদলেন শতবর্ষী সফুরা

বগুড়ার শিবগঞ্জের রহবল হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা সফুরা বেগম। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে তার বয়স ১২০ বছর। সহায় সম্বল বলতে কিছু নাই সফুরার। বিধবা মেয়ে সাহেরা বেগমের (৬৫) বাসায় আশ্রয় নিয়ে অসুস্থ শরীরে দিন পার করছেন। চলমান শৈত্যপ্রবাহে শীতে জবুথুবু তার জীবন।
রবিবার শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রহবল হিন্দু পাড়া গ্রামের অসহায় শীতার্তদের কম্বল উপহার দেন।
সেই উপহারের কম্বল পান শতবর্ষী শীতার্ত সফুরা বেগম। কম্বল পেয়ে কান্না করেন তিনি। বলেন, হামার দিকে কেউ দেখেনি। শীতে কত কষ্ট পাচ্ছি। আল্লাহ যেন ওর (ইউএনও) ভালো করে। হামার মায়ের উপকার করছে ও।
শনিবার রহবল হিন্দু পাড়া গ্রামের সত্তর বছর বয়সি বৃদ্ধা চম্পা রানী আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। সংবাদ পেয়ে ওই এলাকার অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার।
রবিবার তার উপহারের শীতবস্ত্র মৃত চম্পারানীর পুরো পরিবার ও আশপাশের অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হয়। ইউএনওর পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র উপহার পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন চম্পা রানীর পরিবার ও গ্রামবাসী।
মারা যাওয়া চম্পা রানীর ছেলে শ্রী পিযুষ জানান, আমার মা শীত নিবারণ করতে আগুন পোহাতে গিয়ে মারা গেছে। ইউএনও মহোদয় সংবাদ পেয়ে আমাদের পুরো পরিবারের জন্য শীতবস্ত্র পাঠিয়েছেন। গ্রামের বিধবা ও বয়স্কদের মাঝেও বিতরণ করেছেন। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, উপজেলার কোনো মানুষ যাতে শীতে কষ্ট না পায় সে জন্য প্রকৃত শীতার্তদের খুঁজে কম্বল বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি। শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছি।(ঢাকাটাইমস/২১জানুয়ারি/ ইএইচ)

মন্তব্য করুন