কুবিতে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সেমিনার অনুষ্ঠিত

কুবি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:১৩
অ- অ+

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে 'পোড়ামাটির ফলকচিত্রে প্রাচীন বাংলার সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবনচিত্রের উপস্থাপন: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ' শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন ও সহকারী অধ্যাপক শারমিন রেজওয়ানা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাপ্ত প্রাচীন পোড়ামাটির ফলক/টেরাকোটার নিদর্শন অনুযায়ী প্রাচীন বাংলার সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় দিক উপস্থাপন করেন। সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান খান।

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, 'বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংস্কৃতি ইতিহাস, ঐতিহ্য ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে। যার অন্যতম অংশীদার হলো প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। প্রতিবছর তারা দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ইতিহাস ঐতিহ্য ছাড়াও ভাষা, বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠান, আদিবাসী ছাড়াও নানাবিধ গবেষণায় অর্থায়ন করে থাকে। সেই অর্থায়নের জন্য আমরা গত বছর আবেদন করি এবং তারা এই গবেষণাটি নির্বাচন করে। এই গবেষণায় আমরা গুপ্ত পরবর্তী সময় থেকে মুসলিম আগমনের আগ পর্যন্ত বিহার কেন্দ্রিক যে পোড়ামাটির ফলকচিত্র পাই তা দিয়ে প্রাচীন সামাজিক অবস্থা তুলে ধরি। কারণ শিল্পী যখন এই টেরাকোটাগুলো তৈরি করেছেন তার চারপাশের যা দেখেছে তাই সে টেরাকোটায় তুলে ধরেছে। তাই সেগুলোকে পাঠ করে আমরা বাংলার সমৃদ্ধ ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।'

প্রবন্ধ পাঠ শেষে সেমিনারের সভাপতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মালিহা নার্গিস আহমেদ সেমিনারটির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর অধিশাখা) নাফরিজা শ্যামা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় উপসচিব (শাখা-৬) মো. সাইফুল ইসলাম।

এর আগে বাংলায় আবিষ্কৃত টেরাকোটা ফলকের আলোকে প্রাচীন বাংলার সামাজিক- সাংস্কৃতিক অবস্থার প্রতিফলন (৪র্থ থেকে ১৩ শতক) বিষয়ে গবেষণার জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুদান পেয়েছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন। এ গবেষণায় সহযোগী হিসেবে ছিলেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন রেজোয়ানা।

(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের ২০০ কেজি ওজনের বোমা পাওয়া গেল মুন্সীগঞ্জে, নিষ্ক্রিয় করল সিটিটিসি
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
আইইউবিএটি-তে চীনা ভাষা কোর্সের উদ্বোধন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা