যাত্রাবাড়ীতে দুপক্ষের মারামারিতে একজন নিহত, আটক ৫

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জের ধরে মো. জামাল (১৮) নামে একজন ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে। বুধবার রাত সোয়া ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আমির হোসেন (২৩) নামে আহত আরেকজন চিকিৎসাধীন।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে কুতুবখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন হতাহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা নিহতের বন্ধু আসাদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমি কোচিংয়ে গিয়েছিলাম, কোচিং শেষ করে কুতুবখালী স্কুলের পাশে যাই। সেখানে জামাল, সজিব, সুমন কয়েকজন বন্ধু দাঁড়িয়েছিলাম। এ সময় জামালকে ডেকে পাশে নিয়ে যায় সিনিয়র গ্রুপের সিফাত। কিছু সময় পর সিফাতের চিৎকার শুনে আমরা এগিয়ে যাই। সেখানে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে আমরা জামালকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
এর পর আহত আমির হোসেনকে (২৩) নিয়ে আসেন তার বন্ধু ইমন গাজী। আমির হোসেন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইমন গাজী জানান, গত দুদিন আগে জামালদের সঙ্গে কোনো কিছু নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। আজকে সে বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি এবং মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে তিনি আহত হন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, নিহতের মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। আহত যুবক পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে সংবাদ পেয়ে যাত্রবাড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা ঢামেক হাসপাতালে ছুটে আসেন। সিনিয়র জুনিয়র গ্রুপের পাঁচজনকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আটক করেন তিনি। আটকরা হলেন, ইমন গাজী, মানিক, আসাদুল্লাহ, মুজাহিদ ও জাহিদ হাসান।
নিহত জামালের গ্রামের বাড়ি বরিশালের ভাবনায়। তার বাবা মৃত আবুল কালাম চৌধুরী। বর্তমানে কাজলা ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। জামালের মা সুফিয়া বেগম বাসা বাড়িতে কাজ করেন। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে জামাল ছিল ছোট। সে একটি কারখানায় ওয়েল্ডিংয়ে কাজ করতো বলে জানিয়েছেন তার মামা ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, আমরা সংবাদ শুনে হাসপাতালে এসে জামালের মরদেহ দেখতে পাই।
(ঢাকাটাইমস/০৭ফেব্রুয়ারি/আরআর/কেএম)

মন্তব্য করুন