রওশনপন্থি জাপার সম্মেলন সফলে তৎপর হেভিওয়েট নেতারা

জাহিদ বিপ্লব, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২৩ | প্রকাশিত : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৩

আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হচ্ছে রওশনপন্থি জাতীয় পার্টির (জাপা) জাতীয় সম্মেলন। যদিও বছর দুয়েক আগে আরও দুইবার সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন রওশন এরশাদ অনুসারীরা। অবশ্য নেতাকর্মীদের অনেকেই বলছেন তখনকার প্রেক্ষাপট আর এখনকার প্রেক্ষাপট অনেক ভিন্ন।

পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর প্রথম কাউন্সিলে বাদ পড়া কিছু নেতা এবং রওশন এরশাদের ঘনিষ্ঠজনেরা সেসময় এই পন্থির হাল ধরলেও এবার তাদের কলেবর অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্ত হয়েছেন জাতীয় পার্টির অনেক হেভিওয়েট নেতা। এছাড়া সরকারের সঙ্গে সমঝোতার আসন না পাওয়া এবং উন্মুক্ত আসনে নির্বাচন করে দলের সহযোগিতা না পাওয়া নেতারাও ঝুঁকছেন এই পন্থির দিকে।

এছাড়াও দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের আস্থাভাজন কয়েকজন সিনিয়র নেতারাও পরোক্ষভাবে রওশনপন্থিদের সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ দলটির নেতাকর্মীদের। তারা বলছেন, শুধু বহিষ্কার আতঙ্কে সরাসরি সেসব নেতারা প্রকাশ্যে আসছেন না।

ইতোমধ্যে জাপার কো-চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশিদ, সাবেকমন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলন, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সুনীল শুভ রায়, ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহিয়া চৌধুরী, উপদেষ্টা এমএ কুদ্দুস খান, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহাজাদাসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতারা রওশন এরশাদের পক্ষে প্রকাশ্যে এসেছেন। যদিও এদের জিএম কাদের দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

সম্মেলন আহ্বানকারী নেতারা জানান, অল্প সময়ের মধ্যে সম্মেলন সফল করার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে কাজী ফিরোজ রশিদকে। দ্রুত সময়ের মধ্যে গঠন করা হবে বিভিন্ন উপকমিটি। সম্মেলনে সারাদেশের জেলা, মহানগর ও উপজেলা থেকে ডেলিগেট আসতে নেওয়া হয়েছে পরিকল্পনা। জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এ বিষয়ে ঢাকা টাইমসকে বলেন, তারা তো (রওশন অনুসারী) কতকিছুই করছেন। তাদের সম্মেলনের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু প্রচার পাওয়ার জন্যই তারা এগুলো করছেন। যারা সেখানে আছেন তারা সবাই দল থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত। জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টিই মূল পার্টি।

জাপা সূত্র জানায়, বাহ্যিকভাবে রওশন অনুসারীদের তৎপরতা গুরুত্ব না দিলেও বিষয়টি নিয়ে অস্থিরতায় আছে জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নু। সন্দেহভাজন নেতাদের দিকে রাখছেন নজর। কথা বলছেন বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে। বিশেষ করে কিছু সিনিয়র নেতাসহ অনেক মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মী প্রকাশ্যে রওশন এরশাদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় অনেকটাই চিন্তিত।

বিশেষ করে সম্প্রতি জাপার কাকরাইল কার্যালয়ে রওশন এরশাদ অনুসারীরা প্রবেশ করলে টনক নড়ে জিএম কাদেরসহ শীর্ষনেতাদের। এরপর জাপার মহানগর ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়মিত পার্টি অফিসমুখী নির্দেশনা দেওয়া হয়। তারপরও আশানুরূপ উপস্থিতি ঘটাতে ব্যর্থ হচ্ছেন দলটি।

রওশন অনুসারী জাতীয় পার্টির মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সম্মেলনের আগে আমরা দলের বর্ধিতসভা করবো। সেখানেই আপনারা চমক দেখতে পারবেন। বুধবার আমরা সিলেটে শাহজালাল (রা.) মাজার শরীফ জিয়ারত করে আমরা সম্মেলন সফল করার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবো। এরপর প্রয়াত পল্লীবন্ধু এরশাদের কবর জিয়ারত করবো। আমরা কর্মীদের জাতীয় পার্টি গঠন করতে চাই।

(ঢাকাটাইমস/১৪ফেব্রুয়ারি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :