পেঁয়াজ ক্ষেতের ভেতর দিয়ে খাল খনন করে মাটি বিক্রির অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৮

ফরিদপুরের সালথায় পেঁয়াজ ক্ষেতের ভেতর দিয়ে খাল খনন করে মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া ছয়আনি গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের সামনে কয়েক বিঘা জমির পেঁয়াজের চারা নষ্ট করে ও একটি মেহগনি বাগানের ভেতর দিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার এই খাল খনন করা হয়েছে। এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন কৃষক।

মেহগনি বাগানের ভেতর দিয়ে ভেকু মেশিন দিয়ে একটি খাল খনন করা হয়।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খারদিয়া ছয়আনি আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে বলতলা এলাকা পর্যন্ত পেঁয়াজ ক্ষেত ও একটি মেহগনি বাগানের ভেতর দিয়ে ভেকু মেশিন দিয়ে একটি খাল খনন করা হয়েছে। এতে নষ্ট হয়েছে কয়েক বিঘা জমির পেঁয়াজের তাজা চারা। উপড়ে ফেলা হয়েছে একটি বাগানের কয়েকটি মেহগনির গাছ। পাশেই কৃষিজমিতে খনন করা হয়েছে আরেকটি পুকুর।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, পেঁয়াজ ক্ষেত ও বাগানের ভেতর দিয়ে খাল কাটার নামে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করেছেন যদুনন্দী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফরিদ হোসেন। খনন করা মাটি খালের দুই পাড়ে না ফেলে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ওই খাল কৃষকের কোনো উপকারে আসবে না। বরং বৃষ্টি নামলে খালের দুই পাশে থাকা কৃষিজমির মাটি ভেঙে খাল ভরাট হয়ে যাবে।

তারা আরও জানান, খাল খননের মাটি অবৈধ ট্রলি গাড়িতে করে নেওয়া-আনা করায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্থানীয় পাকা সড়কগুলো নষ্ট হয়েছে। ফসলসহ পাকা সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হলেও স্থানীয়ভাবে ওই ইউপি সদস্য প্রভাবশালী হওয়ায় তার ভয়ে কেউ মুখ খুলেনি।

এ বিষয় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. ফরিদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জনস্বার্থে খালটি কাটা হয়েছে। তবে সরকারি কোনো প্রকল্পের মাধ্যমে খাল কেটে মাটি বিক্রি করছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি ফোন কেটে দেন। এরপর আর ফোন রিসিভ করেননি।

যদুনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন মিয়া বলেন, ওখানে একটি সরকারি খাল ছিল। খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা সেখানে পেঁয়াজ চাষ করে আসছে। তবে খালটি সরকারি কোনো প্রকল্পের মাধ্যমে কাটা হয়নি। ইউপি সদস্য ফরিদ মাটি বিক্রি করার জন্য ব্যক্তিস্বার্থে খালটি কেটেছে বলে জানতে পেরেছি। যেকারণে খালের পাড় বাঁধা হয়নি। ফলে খালটি জনগনের দশ পয়সার উপকারে আসবে না।

যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এই খাল কাটার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। কোনো প্রকল্পের মাধ্যমে খাল কাটা হচ্ছে না। তবে শুনেছি খাল কেটে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে।

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, সরকারিভাবে খালটি কাটা হয়নি। আমার অনুমতিও কেউ নেয়নি। আমি এই বিষয় কিছু জানিও না। তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।

(ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :