ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে শরীরে আগুন দেয়া মার্কিন বিমান সেনার মৃত্যু

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে নিজের শরীরে আগুন দেয়া মার্কিন বিমান বাহিনীর সক্রিয় সদস্য মারা গেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত বিমান সেনার নাম অ্যারন বুশনেল (২৫)। গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদেই তিনি এ কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
এরআগে স্থানীয় সময় রবিবার দুপুর ১টা সময় যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বুশনেল। পরে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তারা গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর আগে তারাই তার শরীরের আগুন নিভিয়ে ফেলেন বলে শহরের দমকল বিভাগ জানিয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনার সময় সামরিক পোশাক পরা ব্যক্তিটি ইন্টারনেটে লাইভে ছিলেন, এ সময় তিনি বলছিলেন ‘আমি আর গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকব না।’ এরপরই ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত কর’ বলে চিৎকার করে তিনি একটি স্বচ্ছ তরল নিজের ওপর ঢেলে দেন এবং আগুন ধরিয়ে দেন। সেই ঘটনার পর ঘটনাস্থলে একটি ফিলিস্তিনি পতাকা পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে মার্কিন এয়ার ফোর্সের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, নিজের গায়ে আগুন দেওয়া ওই ব্যক্তি মার্কিন বিমান বাহিনীর সদস্য। তবে পারিবারিক বিজ্ঞপ্তি নীতি উদ্ধৃত করে বিমান বাহিনী বুশনেলের পরিষেবার বিবরণ নিশ্চিত করবে না।
স্থানীয় স্কুরের এক বিবৃতির বরাতে বিবিসি বলছে, টেক্সাসের সান আন্তোনিওর বাসিন্দা বুশনেল ম্যাসাচুসেটসে বেড়ে উঠেছেন এবং কেপ কড উপদ্বীপের পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেছেন।
এদিকে সিক্রেট সার্ভিসের পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত করছে ওয়াশিংটন পুলিশ বিভাগও।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলি কূটনৈতিক মিশনের সামনে এই ধরনের চেষ্টার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। গত ডিসেম্বরেও যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় ইসরায়েলি কনস্যুলেটের বাইরে একজন বিক্ষোভকারী নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এছাড়াও গত অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েক দফায় ফিলিস্তিনপন্থি এবং ইসরায়েলপন্থি বিক্ষোভও হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/এমআর)

মন্তব্য করুন