দৌলতপুরে জোড়া খুন: তদন্ত প্রতিবেদনে অসন্তোষ জানিয়ে এলাকাবাসীর ঝাড়ু মিছিল

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জোড়া খুনের মামলায় আদালতে মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার অভিযোগে দৌলতপুর থানা-পুলিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।
বুধবার সকালে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ভূরকা হাটখোলাপাড়া এলাকায় এ মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ওই এলাকার ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। গত বছরের ১৪ জুন বিকালে গরুতে পাটক্ষেত খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চরাঞ্চলের এক সময়ের ত্রাস লালচাঁদ বাহিনীর সেকেন্ড-ইন কমান্ড উজ্জ্বল সর্দারসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা ভুরকা হাটখোলাপাড়া গ্রামের রহমত মালিথার ছেলে শরিফুল মালিথা ওরফে ভেলশ মালিথা ও ঘেতু মালিথার ছেলে বজলু মালিথা নামের দুই কৃষককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন নিহত বজলু মালিথার ছেলে নাহিদ হাসান।
পরে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জন এজাহার নামীয় আসামিসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক রাকিবুল হাসান আদালত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এতে মামলার বাদীপক্ষ না-রাজি জানিয়ে মামলাটি নতুন করে তদন্তের জন্য মঙ্গলবার (৫ মার্চ) আদালতে আবেদন করেন।
পরে বুধবার সকালে মানববন্ধনে দেওয়া বক্তব্যে তারা জানান, বজলু মালিথা ও শরিফুল মালিথাকে প্রকাশ্য দিবালকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা করা হয়। কিন্তু মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত না করে আসামি পক্ষের থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হাসান মামলার এজাহার থেকে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া ৮ জনের নাম বাদ দিয়ে আদালতে মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। এ কারণে মামলাটি খারিজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন বক্তারা।
এ সময় মানববন্ধন থেকে বক্তারা দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হাসানকে প্রত্যাহারের দাবি জানান। সেই সঙ্গে মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান মানববন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসী।
(ঢাকাটাইমস/৬মার্চ/এআর)

মন্তব্য করুন