ঢাকা-পাশ্চাত্যের মিশেলে উত্তরায় বাহারি ইফতার
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার আর পাশ্চাত্যের বিভিন্ন জনপ্রিয় খাবারের মিশেলে বাহারি ইফতারিতে টেবিল সাজিয়েছে রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো।
একদিকে হরেক রকম ঐতিহ্যবাহী দেশি ভাজাপোড়া খাবারগুলো সুগন্ধি ছড়াচ্ছে চারদিকে। অন্যদিকে তার পাশেই সাজানো হরেক রকমের চায়নিজ, থাই, তুর্কিসহ পশ্চিমা একাধিক দেশের সুস্বাদু সব খাবারের সম্ভার।
বুধবার উত্তরার হোটেল-রেস্তোরাঁয় সরেজমিনে দেখা যায় এভাবে দেশি–বিদেশি খাদ্যের সম্ভারে সাজানো হয়েছে ইফতার আয়োজন।
এর মধ্যে ভিভা, কাবাব ফ্যাক্টরি, লা বামবা, রয়াল ক্যুইজিন, সী-শেল, গোল্ডেন স্পুন, ব্রোকলিতে দেশি–বিদেশি হরেক রকম সুস্বাদু খাবারের আয়োজন দেখা গেছে।
প্রথম রমজানের বিকেল থেকেই ক্রেতারাও নিজেদের পছন্দমাফিক দেশি ও পাশ্চাত্য ঘরানার ইফতারি কিনছেন।
ঐতিহ্যবাহী এসব ইফতার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ছোলা, পেঁয়াজি, বেগুনি, চপ, হালিম, জিলাপি, দইবড়া, নানা ধরনের কাবাব ও তেহারি।
রেস্তোরাঁভেদে এগুলোর দাম ২০-২৫০ টাকা পর্যন্ত।
এছাড়া হালিম ৩৫০ থেকে ৬২০ টাকা, বটি কাবাব ১৭০ টাকা (বিফ ও মাটন) চিকেন চাপ, টিক্কা ১৭০ ও ১৬০ টাকা ছাড়াও পেঁয়াজি, বেগুনি ও আলুর চপ ১০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
আর পাশ্চাত্য ধাঁচের উপকরণের মধ্যে আছে চিকেন ইকাদো, মম, চিকেন সুমাই, ফিশ ফিলেট, ফিশ ফিঙ্গার, স্প্রিং রোল, সুইটিস ইত্যাদি। ধরনভেদে এগুলোর দাম ৫০-৬০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে।
উত্তরা হাউজ বিল্ডিংয়ের পাশে ভিভা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখা যায়, বাংলা ও চায়নিজ খাবার নিয়ে সাজানো বাহারি সব ইফতারি।
রেস্তোরাঁর কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন জানান, তাদের বিশেষ উপকরণের মধ্যে বোম্বে ও রেশমি জিলাপি কেজিপ্রতি ৫৫০, দইবড়া ৫০ টাকা, মাটন হালিম ৪৫০ (ছোট) এবং বিফ তেহারি ১৭০ টাকা। আর চায়নিজ পদের মধ্যে চিকেন সুমাই ৫০ টাকা ও চিকেন ইকাতো ৫০ টাকা রয়েছে।
ইফতারে কাবাব ফ্যাক্টরির বিশেষ আয়োজন আস্ত খাসির রোস্ট। যাতে প্রায় ৭ কেজি ওজনের খাসি ব্যবহার করা হয়। এর দাম ১০ হাজার টাকা। ইফতারে এটি পেতে হলে কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই অন্তত পাঁচ ঘণ্টা আগে বুকিং দিতে হবে। ইফতারে নিয়মিত আয়োজনের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খাবারে বিশেষত্ব আনতে পুরান ঢাকার অভিজ্ঞ বাবুর্চি নিয়ে এসেছেন রেস্তোরাঁর মালিক পক্ষ।
রমজান মাসজুড়ে ইফতারির বিশেষ সব মুখরোচক খাবার তৈরি করবেন বলেও জানান রেস্তোরাঁর কর্মকর্তারা।
লা বামবা থেকে ইফতার কিনতে আসা উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি এখান থেকেই নিয়মিত ইফতারি নেই। এখানকার দইবড়াটা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।’
(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/টিইউ/এসআইএস)