সবাইকে টিকার আওতায় আনতে কার্যক্রম জোরদার করবে ডিএনসিসি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় সবাইকে টিকার আওতায় আনতে এই কার্যক্রম জোরদার করবে নগর কর্তৃপক্ষ।
বুধবার সকালে নগর ভবনে “ডিএনসিসিতে সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রমের চ্যালেঞ্জ এবং তা থেকে উত্তরণের উপায়” বিষয়ক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ সভায় এ ব্যাপারে মেয়র আতিকুল ইসলামের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, মেয়র আতিকুল ইসলামের সবাইকে শতভাগ টিকার আওতায় আনার ঘোষণা বাস্তবায়নে সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রম জোরদারকরণে ডিনসিসি অঙ্গীকারাবদ্ধ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচি বিশ্বের রোল মডেল। টিকাদান প্রক্রিয়াকে আরও কিভাবে জোরদার করা যায় তা নিয়ে ডিএনসিসি কাজ করছে। এ জন্য টিকাদানে ডিএনসিসি’র সক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে কোনো শিশু যেন বাদ না যায় তাই সান্ধ্যকালীন টিকাদান কর্মসূচিকে আরও ভালোভাবে মনিটর করার পাশাপাশি শিশুদের সুরক্ষায় টিকাদান কর্মসূচিকে গুরত্ব দেয়া হচ্ছে।
গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করে গ্যাভি সিএসও’র ভাইস চেয়ারম্যান এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন টিকাদান কার্যক্রমের তুলনামূলকভাবে সফলতা অর্জন করলেও বেশ কিছু জায়গায় পিছিয়ে আছে। যার মূল কারণ টিকাদান কার্যক্রমে জড়িত জনবলের সংকট। পর্যাপ্ত টিকার অভাবের পাশাপাশি অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণেও কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। যা অনেক শিশুকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। সমস্যা সমাধান নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পাদন করা জরুরি। এ জন্য অবস্থান ভেদে নতুন পদ সৃষ্টি এবং সেখানে জনবল নিয়োগ এবং কার্যকর মনিটরিং এর মাধ্যমে টিকাদান প্রক্রিয়াকে জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় ইউনিসেফ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. ফারহানা রহমান বলেন, শহরে শিশুদের শতভাগ টিকাদান নিশ্চিত করা হচ্ছে মূল চ্যালেঞ্জ। স্থানান্তরিত এবং কর্মজীবী মায়েদের শিশুরা মূলত শতভাগ টিকা পায় না এবং ড্রপ-আউট হয়ে পড়ে। এ জন্য সিটি করপোরেশনকে এগিয়ে আসতে হবে। সব শিশুকে টিকাদানে প্রয়োজনে সান্ধ্যকালীন টিকাকেন্দ্র বাড়াতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসি ও এএইচ) ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, ডিনসিসির উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্নেল রুবাইয়াত ইসমত অভীক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং এর সমন্বয়ক এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।
ইপিআই এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন, ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় ইপিআই টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে এই সমীক্ষা পরিচালনা করে।
(ঢাকাটাইমস/১৫মে/টিআই/ইএস)
মন্তব্য করুন