নতুন কারিকুলাম-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

মো. মোজাহিদুল ইসলাম
  প্রকাশিত : ১৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:১৩
অ- অ+

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে নান্দনিক ও আনন্দময় করার পাশাপাশি চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে নিজেদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই কারিকুলাম আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার জন্য নিঃসন্দেহে ইতিবাচক পরিবর্তন। যে পরিবর্তনের ফলে শিক্ষা পৌঁছাবে এক নতুন দিগন্তে।

গত দশ বছর ধরে যে সৃজনশীল শিক্ষাপদ্ধতির প্রচলন ছিল দেশে, প্রথমত এখন সেটি উঠে যাচ্ছে। চালু হচ্ছে একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা। অর্থাৎ নবম শ্রেণিতে উঠে বিভাগ বিভাজনের যে নিয়ম চালু ছিল এতদিন, এখন সেটি থাকছে না। এসএসসি পর্যন্ত এখন অভিন্ন সিলেবাসে পড়বে সব শিক্ষার্থী এবং দশম শ্রেণিতে গিয়ে মূল পাঁচটি বিষয়ে তাদের বোর্ড পরীক্ষা তথা এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর আগের শ্রেণিগুলোতে থাকবে তাদের ধারাবাহিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা। সুতরাং নতুন শিক্ষাব্যবস্থায় পরীক্ষা থাকছে না, পড়াশোনা থাকছে না, কথাটি সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন। পড়াশোনা ও পরীক্ষা থাকছে ঠিকই- তবে সেটি গতানুগতিক ধারায় নয়, ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে তা নির্ণয় করা হবে। পুরাতন কারিকুলামের সাথে নতুন কারিকুলামে এইটুকুই তফাৎ। আর পড়াশোনায় আদ্যিকালের প্রচলিত চোখ বন্ধ করে মুখস্থ করার যে গৎবাঁধা রীতি চলে আসছিল এতদিন, তাতে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে এখন, আসছে যোগ্যতাভিত্তিক মূল্যায়নের নতুন রীতি- যাতে একজন শিক্ষার্থী ইতিহাস-ঐতিহ্য, দর্শন, সমাজ বিজ্ঞান ও সমকালীন জ্ঞান-বিজ্ঞানের দ্বারা দক্ষ এবং মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার প্রয়োজনীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে এসএসসি পর্যন্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একই বিষয় পড়তে হবে- ফলে তাদের ভিত মজবুত হবে এবং বিজ্ঞানমনস্কতা বাড়বে; বাড়বে মানবিক ও ব্যবসায়িক ধ্যানধারণা, এটি অবশ্যই এই শিক্ষাব্যবস্থার একটি ইতিবাচক দিক। এইচএসসিতে গিয়ে যখন বিভাগ বিভাজন হবে, তখন সেই সিলেবাসও তাদের উপযোগী এবং একই সাথে যুগোপযোগী করে প্রণয়ন করা হবে, যাতে সেখানে আগের শিক্ষা কারিকুলামের সাথে পরের শিক্ষা কারিকুলামের পদ্ধতিগত বিষয়ের খাপ খাওয়াতে তাদের কোনো সমস্যা না হয়। এই যদি হয় নতুন কারিকুলামের নতুন ও যুগপোযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা- তাহলে কতিপয় লোকের শিক্ষার এই নতুন কারিকুলাম নিয়ে সমালোচনা করার কারণ কী? কোনোকিছু না জেনে, না বুঝে এবং না উপলব্ধি করে অন্ধের মতো এই বিরূপ সমালোচনা করা কি ঠিক? শুধু শিক্ষা কারিকুলামের বিষয় নিয়ে নয় শিক্ষার যেকোনো বিষয় নিয়েই আলোচনার পূর্বে এই শিক্ষাব্যবস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আগে জানা দরকার। আমরা যে সময়ে বেঁচে আছি, যে যুগে আমরা জীবনযাপন করছি এবং আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছি সেই যুগ সম্পর্কে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের সম্যক ধারণা থাকতে হবে। তাহলেই সে শিক্ষা হবে যুগোপযোগী শিক্ষা। সময়ের সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে যাওয়ার নামই তো শিক্ষা- এটা স্মরণে রাখা প্রয়োজন।

নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় বলা হচ্ছে- মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত দেশপ্রেমিক, উৎপাদনমুখী, অভিযোজনে সক্ষম সুখী ও বৈশ্বিক নাগরিক গড়ে তোলার অভিলক্ষ্যে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের আনন্দময় পড়াশোনার পরিবেশ সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে পাঠ্যপুস্তকের বোঝা ও চাপ কমিয়ে, গভীর শিখনের বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে মুখস্ত-নির্ভরতার পরিবর্তে অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রমভিত্তিক শিখনের অগ্রাধিকার প্রদান করাই এ শিক্ষাব্যবস্থার মূল লক্ষ্য।

এছাড়া খেলাধুলা ও সৃজনশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদানে উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যেন ক্লাসের পাঠ ক্লাসেই শেষ করতে পারে, যাতে করে বাড়ির কাজ বা হোমওয়ার্কের চাপ থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া যায়- সেই ব্যবস্থাই রাখা হয়েছে এই নতুন শিক্ষা কারিকুলামে। ফলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবন শেষে নির্দিষ্ট সময়ে অর্জিত পারদর্শিতায় প্রাপ্ত সনদে জীবন-জীবিকার সুযোগ পাবে আগের তুলনায় অনেব বেশি। যেকোনো দেশের শিক্ষা কার্যক্রমের মৌলিক উদ্দেশ্যই থাকে মূলত ব্যক্তির মানবিক গুণাবলির সুস্থ বিকাশ- যার মধ্য দিয়ে সে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এবারের শিক্ষাক্রম উন্নয়নে সর্বজনবিদিত দার্শনিক, ঐতিহাসিক, মনোবিজ্ঞান, বাস্তবসম্মতভাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির প্রতি অগ্রাধিকারের কথা বলা হচ্ছে। বিশ্বায়নের এই একবিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে পৃথিবী প্রবেশ করেছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে। দ্রুত পরিবর্তনশীল এই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের প্রয়োজন বিশ্বের অন্যান্য দেশের ইতিবাচক পরিবর্তনকে আমলে নিয়ে নিজেদেরও সেভাবে তৈরি করা। আর তাই বিশ্বায়নের যুগে যোগ্যতার ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হলে প্রয়োজন বৈশ্বিক নাগরিকত্বের ধারণাকে মাথায় রেখে নিজেদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করা। অনুধাবন করতে হবে যে- বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার মূল লক্ষ্য মূলত এটাই।

‘বৈশ্বিক নাগরিকত্বে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো একটি রূপান্তরকামী শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন করা যা শিক্ষার্থীর জ্ঞান, দক্ষতা, আচরণগত পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে; যার মাধ্যমে সে একটি ন্যায় ও শান্তিপূর্ণ পৃথিবী তৈরিতে অবদান রাখবে। এটি এমন একটি বহুমাত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা- যা বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় হতে ধারণা ও পদ্ধতি ব্যবহার করে কাজ করে। যেমন- মানবাধিকার, শান্তি, টেকসই উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক শিক্ষা ইত্যাদি হতে উপকরণ সংগ্রহ করে। এখানে জীবনব্যাপী শিক্ষা (খরভবষড়হম খবধৎহরহম) অনুসরণ করা হয়, যা শৈশব হতে শুরু হয়ে সকল শিক্ষাস্তর জুড়ে চলমান থাকে এবং যা প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক, শিক্ষাক্রম এবং শিক্ষাক্রমের বাইরে বাড়তি জ্ঞানার্জন; প্রচলিত ও অপ্রচলিত উভয় পদ্ধতিকেই সমান গুরুত্ব দেয়।’ (ইউনেস্কো ২০১৫)

বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ বৈশ্বিক নাগরিকত্বের মূল ধারণাসমূহ, মূল্যবোধ, ক্ষেত্র ও যোগ্যতাসমূহ সন্নিবেশিত হয়েছে। শিক্ষানীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, শিক্ষানীতির মূল উদ্দেশ্য মানবতার বিকাশ এবং জনমুখী উন্নয়ন ও প্রগতিতে নেতৃত্বদানের উপযোগী মননশীল, যুক্তিবাদী, নীতিবান, নিজের এবং অন্যান্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কুসংস্কারমুক্ত, পরমতসহিষ্ণু, অসাম্প্রদায়িক, দেশপ্রেমিক এবং কর্মকুশল নাগরিক গড়ে তোলা। পাশাপাশি শিক্ষার মাধ্যমেই জাতিকে দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার বৈশিষ্ট্য ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এই শিক্ষানীতি সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে গণমুখী, সুলভ, সুষম, সর্বজনীন, সুপরিকল্পিত, বিজ্ঞানমনস্ক এবং মানসম্পন্ন শিক্ষাদানে সক্ষম শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার ভিত্তি ও রণকৌশল হিসেবে কাজ করবে।

নতুন কারিকুলামের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, কতগুলো মহৎ ও ব্যাপক লক্ষ্যকে সামনে রেখে, অনেক আলোচনা-পর্যালোচনার ভিত্তিতে, বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিগণের পরামর্শে প্রণীত হয়েছে এই শিক্ষানীতি এবং এটি একটি বাস্তবসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষানীতি। এর সুফল একদিনেই আসবে না, বরং সার্বিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটি সমাজে অত্যন্ত ইতিবাচক একটি প্রভাব ফেলবে, যা খানিকটা সময়সাপেক্ষ এবং সকলের অংশগ্রহণের ওপরও নির্ভরশীল। এই শিক্ষাব্যবস্থার সুফল পেতে হলে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এটিকে অনুধাবনপূর্বক একে বাস্তবায়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি। পাশাপাশি শিক্ষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খোদ শিক্ষকদের মধ্যে বিদ্যমান অস্পষ্টতা দূর করা প্রয়োজন এবং শিক্ষকদের মধ্যে যারা প্রাচীনপন্থী, মান্ধাতার আমলের ধ্যানধারণাকে লালন করেন, তাদের চিহ্নিত করে তাদের ভেতরকার অন্ধত্ব দূরীকরণে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন, যা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। সুতরাং একদিনেই এই নয়া কারিকুলামের সুফল দৃষ্টিগ্রাহ্য করা সম্ভব নয়।

অভিভাবকদের মধ্যে যারা ‘আলু ভর্তা’র শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং শিশুদের ডিভাইসনির্ভরতা নিয়ে অভিযোগ করছেন, তাদের এই উদ্বিগ্নতা এবং অভিযোগগুলোও আমলে নেওয়ার যোগ্য নয়; কারণ নতুন কারিকুলামে ‘আলু ভর্তা’কে একটি বিষয়ের একটি অধ্যায়ের একদিনের ঐচ্ছিক কার্যক্রম হিসেবে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তেমনি জীবনের আরও আরও অবশ্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোকেও প্রত্যেকটি বিষয়ের অবশ্যপাঠ্য বিষয় হিসেবে ততোধিক গুরুত্বের সাথে উপস্থাপন করা হয়েছে। আর প্রযুক্তিনির্ভর এই বিশ্বব্যবস্থায় শিশুরা প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হবে, প্রযুক্তির ব্যবহার করবে, সেটি অস্বাভাবিক নয়; শুধু লক্ষ রাখতে হবে, তাদের প্রযুক্তির ব্যবহার যেন ইতিবাচক হয়। তাছাড়া নয়া কারিকুলামে কোথাও শিশুদের হাতে সেলফোন তুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি, কাজেই এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ারও বোধ করি বিশেষ কিছু নেই।

পৃথিবী বদলে যাচ্ছে, বদলে যাচ্ছে সময়। এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েই পথ চলতে হবে আমাদের আগামী প্রজন্মকে। সুতরাং তারা যেন আগামীর পথে চলতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে না যায়, সে দিকে নজর দেওয়া আমাদের কর্তব্য। আর নয়া কারিকুলাম মূলত সেই পতন থেকে বাঁচানোর প্রচেষ্টারই ইতিবাচক ফলশ্রুতি। কাজেই অযথা সমালোচনা না করে এটিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে এর ভেতরকার দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে একটি গ্রহণযোগ্য রূপরেখা প্রদানের চেষ্টা করাই সময়ের দাবি। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে তার নিজস্ব গতিতে। এ অবস্থায় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা যদি হয় পশ্চাৎপদ ও সেকেলে প্রাচীন আমলের তাহলে আমাদের অনাগত প্রজন্ম সময়োপযোগী ও যুগপোযোগী শিক্ষার দক্ষতা থেকে পিছিয়ে পড়বে। এর দায় সমাজ ও রাষ্ট্র কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না। আমাদের আগামী প্রজন্মকে যদি আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বর্তমান সমাজ ভাবনার আলোকে ইতিহাস ও ঐতিহ্য সচেতন হিসেবে যদি গড়ে তুলতে পারি তাহলেই নতুন শিক্ষা কারিকুলামের উদ্দেশ্য সার্থক হবে।

মো. মোজাহিদুল ইসলাম: সহকারী ইংরেজি শিক্ষক, আলফাডাঙ্গা আরিফুজ্জামান পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বাংলাদেশ-নেপাল-ভুটান-সেভেন সিস্টার্সের মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক কৌশলের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ডিগ্রির মর্যাদা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নার্সেস দিবস বয়কট, বিক্ষোভ ডিপ্লোমা নার্সিং শিক্ষার্থীদের
পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র, র‍্যাব পুনর্গঠনে ৫ সদস্যের কমিটি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 
শিবগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৭
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা