সুভাষ চন্দ্র বসু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী! কঙ্গনার দাবিতে হাসির রোল

ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবন- সবকিছু নিয়ে বরাবরই শিরোনামে থাকেন বলিউডের বিতর্কিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি বলেন, ভারত সত্যিকারের স্বাধীনতা লাভ করেছে। ওই বক্তব্য সে সময় বেশ আলোড়ন তুলেছিল।
এবার সুভাষ চন্দ্র বসুকে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বলে ফের একবার বিতর্কে কঙ্গনা।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ২৭ মার্চ এই অভিনেত্রী তার নিজ শহর মান্ডি থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে ভোটের ময়দানে যোগ দিয়েছেন। তারপরই তিনি এক সাক্ষাৎকারে যোগ দেন। এক সপ্তাহ পরে সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও ক্লিপ এক্স হ্যান্ডেলে এবং ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হয়েছে।
সেই ভিডিওতে কঙ্গনাকে বলতে শোনা যায়, স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং আজাদ হিন্দ ফৌজ নেতা সুভাষ চন্দ্র বসু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। পন্ডিত জওহরলাল নেহরু নন।
ভিডিওতে কঙ্গনা বলেন, ‘প্রথমে আপনি আমাকে এই কথাটা স্পষ্ট করে বলুন। যখন আমরা স্বাধীনতা পাই, তখন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী সুভাষ চন্দ্র বসু কোথায় গিয়েছিলেন।’
তখন শো-এর হোস্ট অভিনেত্রীকে মনে করিয়ে দেন যে, সুভাষ চন্দ্র বসু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নন। তখন কঙ্গনা একটি তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘সে ছিল না, কিন্তু কেন? সে কোথায় গেল? কীভাবে তাকে নিখোঁজ করা হয়েছিল?’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘সুভাষ চন্দ্র বসু ভারতের স্বাধীনতার জন্য জাপান, জার্মানির সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু তাকে ভারতে অবতরণ করতে দেওয়া হয়নি।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় কঙ্গনার মন্তব্য নেটিজেনরা তাকে তীব্র কটাক্ষ করেন। অভিনেত্রীর মতে, ভারত ২০১৪ সালে স্বাধীনতা পেয়েছিল। নেতাজি বসু স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সর্দার প্যাটেলকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়নি, কারণ তিনি ইংরেজি জানতেন না।’
কঙ্গনার এসব মন্তব্যের বিপরীতে এক নেটিজেন লেখেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে এই ধরণের আরও জোকসের (কৌতুক) জন্য কঙ্গনাকে মান্ডি থেকে ভোট করা উচিত।’
অন্য এক নেটিজেন লেখেন, ‘আমি আশঙ্কা করছি যে কঙ্গনা যদি শিক্ষামন্ত্রী হতেন, তাহলে তিনি দাবি করে ইতিহাস পুনর্লিখন করতে চাইতে পারেন যে, সুভাষ চন্দ্র বসু স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।’
(ঢাকাটাইমস/০৭এপ্রিল/এজে)

মন্তব্য করুন