হুমায়ুন আজাদ হত্যা: যেভাবে আত্মগোপনে ছিলেন ঘাতক জেএমবি নেতা

ভাষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা নূর মোহাম্মদ সাবু ওরফে শামীমকে গ্রেপ্তার বিষয়ে নানা তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন এটিইউ প্রধান এডিশনাল আইজিপি এস এম রুহুল আমীন ।
তিনি বলেন, নুর মোহাম্মদ ইলিয়াস সাবু বিভিন্ন ছদ্ম নাম ব্যবহার করে আত্মগোপনে থেকে পরে মাহবুবুর রহমান সোহাগ নামে পাসপোর্ট বানিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেন। এরপর ২০১৭ সালে আবারও দেশে আসে ও বিয়ে করে বউ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দার চোখ ফাঁকি দিয়ে পুনরায় সৌদি আরবে চলে যান। এ বছর ৮ এপ্রিল আত্মীয়ের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে এলে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল এ হত্যা মামলার রায় হয়। তাতে ৪ আসামির ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।
রায়ে বলা হয়, হুমায়ুন আজাদকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন জঙ্গি সংগঠন জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই। ২০০৪ সালে বইমেলায় এই দুই জঙ্গি নেতার নির্দেশে আতাউর রহমান সানির নেতৃত্বে মিনহাজ, আনোয়ারুল আলম ওরফে ভাগনে শহীদ, নূর মোহাম্মদ ওরফে শামীম, হাফিজ মাহমুদসহ অন্যরা হুমায়ুন আজাদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন।
পরদিন তার ভাই মঞ্জুর কবির রাজধানীর রমনা থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। বিদেশে উন্নত চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর একই বছরের ১২ আগস্ট জার্মানিতে মারা যান হুমায়ুন আজাদ।
পরে হত্যাচেষ্টা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়। অন্য একটি মামলায় ২০০৭ সালে আবদুর রহমান ও সানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। কারাগারে আছেন জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর ও আনোয়ারুল। মারা গেছেন হাফিজ মাহমুদ। তবে পলাতক ছিলেন নূর মোহাম্মদ সাবু ওরফে শামীম ও সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন। রায়ের দুবছর পর গ্রেপ্তার করা হলো তাকে।
(ঢাকাটাইমস/৯এপ্রিল/এএম/এআর)

মন্তব্য করুন