উপজেলা নির্বাচন: নোয়াখালীর একরামের এমপি পদ স্থগিতের দাবি জেলা আ.লীগের

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৩ | প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৭

দলীয় প্রধানের আদেশ অমান্য করে নিজের ছেলেকে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করায় নোয়াখালী- (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) একরামুল করিম চৌধুরীর এমপি পদ স্থগিতের দাবি জানিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সহিদ উদ্দিন এস্কান্দার কচি মিলনায়তনে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানান জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী খায়রুল আনম সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহিন, সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান সোহেল, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন খেলন, সাধারণ সম্পাদক হানিফ চৌধুরীসহ বিভিন্ন নেতা।

বক্তারা বলেন, এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর বাড়ি কবিরহাট উপজেলায়। তিনি নিজ ছেলের জাতীয় পরিচয়পত্রে ঠিকানা বদল করে সুবর্ণচর নিয়ে ছেলেকে উপজেলা পরিষদে প্রার্থী করিয়েছেন। তাও আবার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ নেতা খায়রুল আনম সেলিমের বিরুদ্ধে। প্রতীক পাওয়ার আগ থেকে ভোটের মাঠে নেমে এমপি একরাম আওয়ামী লীগের নেতাদের হুমকি দিচ্ছেন, বিষোদগার করছেন। ভোট না দিলে উন্নয়ন করবে না বলে সাধারণ মানুষকে শাসাচ্ছেন। জেলার সাধারণ সম্পাদক নোয়াখালী পৌর মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেলকে তার অফিস থেকে বের হতে দেবেন না বলেও হুমকি দিচ্ছেন, যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। একজন আইন প্রণেতা হয়ে তিনি আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

খায়রুল আনম চৌধুরী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় একরাম চৌধুরী নোয়াখালী পৌরসভার মেয়রের কক্ষে আমাকে নেতাকর্মীদের সামনে চরমভাবে অপমান করে একপর্যায়ে তেড়ে আসেন এবং হুমকি দিয়ে বলেন আমাকে দেখে নেবেন। এই ধরনের অবস্থার প্রেক্ষিতে আমি দারুণভাবে শারীরিক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি। সেজন্য আমি চিকিৎসাজনিত কারণে কিছুদিন ঢাকায় আবস্থান নিতে বাধ্য হই। কিন্তু মোবাইল ফোনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি যেন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকাকে বিজয়ী করতে সক্ষম হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, এমপি আমার বিরুদ্ধে একরাম চৌধুরী তার ছেলে সাবাব চৌধুরীকে কবিরহাট থেকে এনে সুবর্ণচরের ভোটার করে আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী করেছেন। আমাকে অপমান জেলা আওয়ামী লীগকে অপমান করার জন্য এটি করেছেন। তিনি মনে করেন যে, দল তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে না, কারণ তিনি এমপি।

একরাম চৌধুরী তার অঢেল টাকা, পেশিশক্তি, সন্ত্রাসী বাহিনী, অবৈধ অস্ত্র এবং এমপির ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তার ছেলেকে জয়ী করতে উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করেন খায়রুল আনাম চৌধুরী। তিনি বলেন, একরাম চৌধুরী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার কুৎসা রটাচ্ছেন। আমাকে যা তা ভাষায় গালাগালি করছেন, যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। আমি তার এমন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো যেন তিনি অতি দ্রুত একরামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। সবশেষ তিনি সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।

(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :