আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের তাৎপর্য প্রতিষ্ঠিত হোক

আলী হাসান
| আপডেট : ০১ মে ২০২৪, ০০:২৯ | প্রকাশিত : ০১ মে ২০২৪, ০০:১৫

আজ মহান মে দিবস। বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন দিবসের ভিন্ন ভিন্ন মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য থাকলেও এই একটিই দিবস আছে এই পৃথিবী নামের গ্রহে যেদিন বিশ্বের সকল দেশ একই মহৎ ভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে ঐক্যবদ্ধ হয়। বিশ্বজুড়ে সকল কর্মস্থলেই এদিন বিশেষ ছুটি পালন করা হয়ে থাকে। শ্রমিকরা এদিন তাদের নির্ধারিত কাজ থেকে বিরত থাকে এবং এদিনের বিশেষ তাৎপর্যকে অন্তরে ধারণোত্তর নতুনভাবে কর্মস্পৃহা জাগিয়ে তুলতে চেষ্টা করে। কিছুকাল আগেও এই দিনটির বিশেষ তাৎপর্য সম্পর্কে আমাদের দেশের শ্রমিকরা তেমন একটা সচেতন ও ওয়াকিবহাল ছিলেন না। কিন্তু ইদানীং সকল শ্রেণির শ্রমিকের মধ্যেই মহান মে দিবস সম্পর্কে বিশেষ সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা এখন এই দিবসটি পালন করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি আগ্রহী ও তৎপর। এ থেকে অনুধাবন করতে বিশেষ কষ্ট হয় না যে- শ্রমিকরা তাদের কাজ, কর্মঘণ্টা, তাদের ন্যায্য মজুরি ইত্যাদি সম্পর্কে খুবই সচেতন ও উদ্যোগী। বলার অপেক্ষা রাখে না- সভ্যতা দাঁড়িয়ে আছে শ্রমের ওপর। সভ্যতা এগিয়ে যাচ্ছে শ্রমকে পুঁজি করে। আর এই শ্রম যারা নিরন্তরভাবে দিয়ে বিশ্বসভ্যতাকে আজ আধুনিকত্বের এক ঈর্ষণীয় পর্যায়ে উত্তীর্ণ করেছেন তারাই তো শ্রমিক। তাদের শ্রমে ও ঘামেই নির্মিত হয়েছে বর্তমানের এই আধুনিক ও উন্নত জীবন ব্যবস্থা। কিন্তু কী করে এই শ্রমিক দিবসের সৃষ্টি তার প্রেক্ষপট একটু বলা দরকার।

১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা উপযুক্ত মজুরি আর দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। কল-কারখানার সীমাহনি পরিশ্রম তখন গিলে খাচ্ছিল শ্রমিকের গোটা জীবন। অসহনীয় পরিবেশে তখন প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা কাজ করতে হতো তাদের। সপ্তাহজুড়ে অমানসিক পরিশ্রম করে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য তখন একেবারে ভেঙে যাচ্ছিল। শ্রমজীবী শিশুরা তো হয়ে পড়েছিল একেবারেই কঙ্কালসার। তখন দাবি উঠেছিল, কল-কারখানার এই অমানসিক পরিশ্রম শ্রমিকের গোটা জীবন কোনোভাবেই কিনে নিতে পারে না। তখন দিনে ৮ ঘণ্টা শ্রমের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের সময় ওই বছরের ১-লা মে শ্রমিকরা ধর্মঘট আহ্বান করে। প্রায় তিন লাখ মেহনতি শ্রমিক ওই সমাবেশে অংশ নেয়। আন্দোলনরত ক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের রুখতে গিয়ে একসময় পুলিশ বাহিনী শ্রমিকদের মিছিলে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে তৎক্ষণাৎ পুলিশের গুলিতে ১১ জন নিরস্ত্র শ্রমিক নিহত হন, আহত ও গ্রেফতার হন আরো অনেক শ্রমিক। পরবর্তীতে প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত শ্রমিকদের মধ্য থেকে ছয়জনকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার অপরাধে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। কারাগারে বন্দিদশায় এক শ্রমিক নেতা আত্নহননও করেন। এতে বিক্ষোভ আরো প্রকট আকারে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। ১৮৮৯ সালের ১৪ই জুলাই ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে ১-লা মে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৮৯০ সাল থেকে ১-মে বিশ্বব্যাপী পালন হয়ে আসছে ‘মে দিবস’ বা ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’ হিসেবে।

এই হলো আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের ইতিবৃত্ত। তবে এই ইতিহাসের মধ্যেই দিবসটির তাৎপর্য ও মাহাত্ম্য লুকিয়ে আছে। সন্দেহ নেই বিশ্বজুড়ে শ্রমিক দিবস পালনের সূচনা থেকেই শ্রমিকদের প্রতি আলাদা একটি মর্যাদা স্থাপিত হয়েছে। বলা যায় এরপর থেকে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতে শুরু করে বিশ্বজুড়ে শ্রমব্যবস্থায়। শ্রেণিবৈষম্যের বেড়াজালে যে শ্রমিকরা একদিন শোষিত ছিল তারাই এক সময় শোষণের নিগড় ভেঙে বেরিয়ে আসতে সমর্থ হয়। আসলে শ্রমিক দিবস পালন শুরু হওয়ার পর থেকে পুঁজিবাদের ওপর একটা সাংঘাতিক ধাক্কা আসে। এর ফলে অবৈধ পুঁজিপতিদের আগ্রাসী মনোভাব থেকে রেহাই পায় শ্রমিকরা। শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে শুরু করে। শ্রমিকদের সঙ্গে মালিক পক্ষের উচুঁনিচু ভেদও তখন অনেকটাই দূর হতে শুরু করে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে মে দিবস সারা বিশ্বের শ্রমিকদের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে এবং বিশে^র সব শ্রমিকের নিজস্ব স্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্দোলনের প্রেরণা হিসেবে একটি কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছে। সমতা, ন্যায্য মজুরি, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের জন্য চলমান লড়াই বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও এই শ্রমিক দিবসের মাহাত্ম্য বিশেষ অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। বিশ্বজুড়ে পালিত আন্তর্জাতিক এই মে দিবসের প্রেরণা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং সেই সংগ্রামে শ্রমিক আন্দোলনের ভূমিকার সঙ্গেও বিশেষ প্রেরণাদায়ক প্রেক্ষাপট হিসেবে কাজ করেছে বলা যায়।

বিশ্বজুড়ে অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশেও শ্রমিক আন্দোলন বিভিন্ন সেক্টরের শ্রমিকদের অধিকারের পক্ষে কথা বলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিশেষ করে, পোশাক শিল্প-শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে এটা এক ধন্বন্তরি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। দেখা গেছে, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ওপর যখন মালিকপক্ষ অন্যায়ভাবে কোনোকিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে তখনই তারা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছে। তখন এক সময় ঠিকই মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। এইসব দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে মে দিবসের তাৎপর্য থেকেই। সুতরাং গার্মেন্টস শিল্পে বাংলাদেশি শ্রমিকদের আন্দোলন-সংগ্রাম মে দিবস উদ্যাপনের প্রেরণার ওপর অনেকটাই নির্ভশীল- এ কথা অনায়াসে বলা যায়। বাংলাদেশে কিছুদিন পরপরই আমরা দেখতে পাই- শ্রমিকরা ওভারটাইম, উন্নত চিকিৎসা এবং ন্যায্য মজুরির দাবিতে রাস্তায় নামে। এটা এখন প্রমাণিত যে- নানা সংকটের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও, বাংলাদেশি শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন এবং পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারা এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণাও লাভ করে থাকেন। এটা তো অস্বীকার করা যাবে না যে- আশির দশকের পর থেকে জাতীয় আয়ে এই গার্মেন্টস শ্রমিকরা এক বিরাট অবদান রেখে চলেছে। তাদের স্বার্থ রক্ষা করা রাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট মালিক পক্ষে এক নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য হলেও সেটা কার্যকর হতে দেখা যায় না।

আন্তর্জাতিক মে দিবস সারা বিশ্বের শ্রমিকদের জন্য একটি স্মরণীয় ও উল্লেখ করার মতো দিন এবং এই দিনটির উদ্যাপন ও নতুন অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে শ্রমিকরা এগিয়ে যাওয়ার শক্তি অর্জন করে থাকে। কেননা, এই মহান দিনটি অত্যন্ত মানবিকভাবে সামাজিক ও রাষ্ট্রিক ন্যায়বিচারের বার্তা প্রতিষ্ঠিত করেছে ইতোমধ্যে। এজন্য এই দিবসটি দারুণভাবে বিশ^জুড়ে সকল দেশের জন্যই প্রবলভাবে প্রাসঙ্গিক। আমরা মনে করি, একবিংশ শতাব্দীর নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে এই মহান মে দিবস শ্রমিকদের অধিকারের লক্ষ্যে নানাভাবে প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে চলেছে। সমাজে শ্রমিকরা যে একটি প্রধানতম অঙ্গ এবং তাদের অহর্নিশ কাজ করার ফলেই যে সমাজ ও রাষ্ট্র এগিয়ে চলেছে- এই মহত্তর ভূমিকার চিরন্তন সত্যের মৌলিক স্বীকৃতি দেবার সময় এসেছে এখন। তাদের প্রতি ন্যায়পরায়ণ আচরণ ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে সম্ভব সবকিছু করতে হবে। অস্বীকার করা যাবে না যে- বিশ্বজুড়েই বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে শ্রমিকদের অবস্থান অনেক ক্ষেত্রেই নাজুক ও অবহেলিত। দেখা যায়, দেশে কিংবা বিদেশে শ্রমিকরা আজও নানামুখী শোষণ, অন্যায্য আচরেণের শিকার হয়ে থাকে। তাদের আবাসন, খাদ্য, চিকিৎসা ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় ব্যবস্থাগুলো অনেকটাই অনিরাপদ। তাদের কাছ থেকে কাজ আদায় করা হয় কড়ায়-গণ্ডায় কিন্তু তাদের মজুরি ও অন্যান্য সুবিধা শ্রম অনুযায়ী ভারসাম্যমূলক হয় না। এই বৈষম্য দূর করার জন্যই মূলত শ্রমিক দিবসের তাৎপর্যকে সামনে তুলে ধরা বেশি জরুরি

আমরা সকলেই জানি যে- প্রয়োজনীয় শ্রম ছাড়া কোনোকিছুই উৎপাদন করা যায় না- কাক্সিক্ষত লক্ষ্যেও পৌঁছানো সম্ভব না। কিন্তু, একজন শ্রমিকের শ্রমের কর্মঘণ্টা কতক্ষণ হবে- সেটা নির্ধারিত থাকলেও সে শ্রমঘণ্টা মানা হয় কি? প্রায়শই তাদের দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করানো হয়। একটি কর্মস্থলে একজন শ্রমিক কতক্ষণ কাজ করলে এবং তার বিনিময়ে কতটুকু মূল্য পেলে তার জীবন পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হতে পারে সেটা ভেবে দেখা দরকার। দেখা যায়- আমাদের দেশে ফেক্টরি, মিল-কারখানা ও গার্মেন্টসের মালিকরা শ্রমিকদের কঠোর শ্রমে ঠিকই বিপুল অঙ্কের লাভ ঘরে তোলেন কিন্তু যাদের শ্রম ও ঘামে এই ফুলেফেঁপে ওঠা তাদের দিকে মানবিক দৃষ্টি প্রদান করা হয় না। এটা করলে শ্রমিকদের মধ্যে মাঝে-মাঝেই দেখা দেওয়া অপ্রত্যাশিত শ্রমিকঅসন্তোষগুলো হতো না। একটি মজুরি কমিশন আছে, তারা শ্রমিকদের জন্য মজুরি নির্ধারণও করে কিন্তু কিছুকিছু মালিক মজুরি কমিশনের নির্ধারণ করে দেওয়া নিয়ম মানতে চায় না। তারা শ্রমিকদের ঠিকমতো ওভারটাইম দেয় না, ঈদ কিংবা অন্যান্য উৎসবে বোনাস দিতে চায় না। ঈদের আগে শ্রমিকদের সকল বকেয়াদি পরিশোধ করার কথা থাকলেও তা দিতে তারা গড়িমসি করে। এজন্য প্রতি বছরই ঈদের আগে রাস্তা ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচিগুলি শ্রমিকরা পালন করতে বাধ্য হয়।

আর যেটা সবচেয়ে বাস্তব সেটা হলো- শ্রম অনুযায়ী শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি না দেওয়া। বর্তমানের এই উচ্চমূল্যের বাজারে যেখানে প্রতিটি পণ্যের দামই আকাশছোঁয়া সেখানে একজন শ্রমিকের মাত্র দশ/বারো হাজার টাকায় কীভাবে তাদের সংসার চলবে। সুতরাং কিছুদিন পররপরই তাদের আন্দোলনে নামতে হয়। মালিকের মুনাফা এবং শ্রমিকের মজুরির যে বিরোধ- সেই বিরোধে শ্রমিক সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও শক্তিতে তারা দুর্বল এবং শোষিত। ফলে বিশ্বজুড়ে পোশাক, খাদ্য-পণ্য ও ব্যাবহারিক অন্যান্য পণ্য উৎপাদন সকল রেকর্ড ভেঙে ফেললেও তা শ্রমিকদের স্বার্থের নাগালের বাইরেই থেকে যায়। পণ্য উৎপাদনের পরে তা বাজারজাতকরণোত্তর আয়ের সবচেয়ে বড়ো অংশটি মালিক বুঝে নিলেও শ্রমিকরা তাদের ন্যূনতম পারিশ্রমিক পাওয়ার ক্ষেত্রে কেন সংগ্রাম করবে এটা বোধগম্য নয়। শ্রমিকরা যে সামান্য আয় করে সেখান থেকে খাদ্য, বাড়িভাড়া, পোশাক, চিকিৎসায় ব্যয় ন্যূনতমভাবে মিটে যাবার পরে তাদের হাতে কোনো সঞ্চয় তো থাকেই না বরং তাদের ঋণে জর্জরিত হতে হয়। আর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ক্রমাগতই সংকুচিত হয়ে পড়ছে। বিশ্বজুড়েই তারা ক্রমাগত বেকার হয়ে পড়ছে। রাষ্ট্র ও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়টি বিচক্ষণতার সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে। মূলত আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের মাহাত্ম্য ও তাই। এই দিবসকে কেন্দ্র করে মালিক, শ্রমিক ও রাষ্ট্রের যথাযথ কর্তৃপক্ষ তাদের সর্বোচ্চ বিবেচনাবোধ ধারণপূর্বক মানবিক আচরণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে- এটাই মে দিবসের প্রতিপাদ্য।

আলী হাসান: সাংবাদিক, কলাম লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :