শফিউল আলম প্রধানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার

আধিপত্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের নেতা, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি—জাগপার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল মঙ্গলবার। ২০১৭ সালের ২১ মে তিনি রাজধানীর আসাদগেটে নিজ বাসায় মারা যান তিনি।
শফিউল আলম প্রধানের জন্ম ১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি পঞ্চগড় জেলার টোকরা ভাষা গ্রামে সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে। তিনি তৎকালীন প্রাদেশিক পাকিস্তানের আইন পরিষদের স্পিকার মৌলভী গমির উদ্দিন প্রধানের তৃতীয় ছেলে।
শফিউল আলম প্রধান ১৯৬৮ সালে শেখ বোরহানউদ্দিন কলেজের নির্বাচিত জিএস এবং ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হলের ভিপি নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়া অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭২-৭৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৯৭৩-৭৪ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৭৪ সালের ৩০ মার্চ ছাত্রলীগের পক্ষে ক্ষমতাসীন দলের (আওয়ামী লীগ) দুর্নীতির তালিকা প্রকাশ করার কারণে তৎকালীন সরকার সেই সময় শফিউল আলম প্রধানকে গ্রেপ্তার করে। শফিউল আলম প্রধান ১৯৭৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা গঠন করেন। জাগপার ব্যানারে তিনি দেশ মাটি ও মানুষের অধিকার আদায়ের কথা বলেন।
আমেরিকা, রাশিয়া ও ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শফিউল আলম প্রধান রাজপথে ছিলেন। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, তিস্তার পানি, দহগ্রাম আংগুরপোতা, ফারাক্কা লংমার্চ, টিপাইমুখ বাঁধ, বেরুবাড়ী লংমার্চ, দিনাজপুরে ইয়াসমিন হত্যার আন্দোলন, সীমান্ত হত্যাসহ নানাবিধ ইস্যু নিয়ে বছরের পর বছর আন্দোলন করেছেন শফিউল আলম প্রধান। এ জন্য প্রতিটি সরকারের শাসনামলেই তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে।
শফিউল আলম প্রধানের স্মৃতিচারণ করে তার ছেলে জাগপার সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেন, আমি গৌরববোধ করি আমি পিতার চেয়ে নেতা হিসেবে শফিউল আলম প্রধানকে কাছে পেয়েছি। একজন সাচ্চা দেশপ্রেমিক হিসেবে তিনি ছিলেন উদার মনের রাজনীতিবিদ। শফিউল আলম প্রধান যেমন পরিবারকে নিজের চোখে দেখতেন এবং তেমনি দেশকে পরিবারের চোখে দেখতেন। পরিবার এবং দেশ ছিলো তাঁর কাছে একটি পরিবার। দেশবাসীর মতো আমিও শফিউল আলম প্রধানের শূণ্যতা মর্মে মর্মে অনুভব করছি।
দেশবাসীর কাছে মরহুম শফিউল আলম প্রধানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া চেয়েছেন রাশেদ প্রধান।
এদিকে শফিউল আলম প্রধানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ১০টায় ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও একই দিনে পঞ্চগড়, বগুড়া, যশোর, রংপুর দিনাজপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী সহ বিভিন্ন জেলা, উপজেলা এবং মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২০মে/জেবি/কেএম)

মন্তব্য করুন