ইমামকে অব্যাহতি: শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে প্রক্টরিয়াল বডির বাধা

জবি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ মে ২০২৪, ১৮:৩৯

ইমামকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিলের চেষ্টা করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডি ও শিক্ষকদের বাধার মুখে থমকে যায় মিছিলটি।

বুধবার জোহরের নামাজের পর ক্যাম্পাসে ইমামের অব্যাহতির প্রতিবাদে মিছিল হবে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ফেসবুক পেইজ থেকে পোস্ট করা হয়।

বিক্ষোভ মিছিলের খবর পেয়ে ইমামকে অব্যাহতির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য এ এন এম আসাদুজ্জামান ফকির সেখানে হাজির হন। তিনি মানববন্ধন ও মিছিল করতে নিষেধ করেন। অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ এন এম আসাদুজ্জামান ফকির বলেন, ‘আমরা আসলে শৃঙ্খলার বিষয়ে সেখানে গিয়েছি। শিক্ষার্থীদের বুঝিয়েছি, এখন এ বিষয়ে মানববন্ধন হলে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা হতে পারে। এছাড়া দেখা গেছে ইমামের পক্ষে থাকতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়ে ইমামের আরও ক্ষতি হতে পারে।’

শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, বিক্ষোভ শুরু করার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি এসে তাদের বিক্ষোভ করতে নিষেধ করেছেন। পরবর্তীতে একাধিক শিক্ষক এসে তাদের বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলেন। এতে তারা সাময়িকভাবে বিক্ষোভ মিছিলটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মসজিদ একটা সেনসিটিভ ইস্যু। এখানে আমরা মেয়েলি কোনো ইস্যু খুঁজিনি। কিন্তু অবান্তর ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। আমি বিশ্বাস করি, মেয়েটা অসুস্থ ছিল, ইবাদত করতে গেছে। কিন্তু একটা মেয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত মসজিদে ঘুমাবে কেন? সেটা ইমাম জানবে না?’

ইমামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে বলে ছাত্রী গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, ‘আমি শুনেছি একটা মেয়ে মসজিদে ঘুমিয়ে গেছে। মেয়ে গণমাধ্যমে যে ভাষ্য দিয়েছে হয়ত সে ভয় পেয়ে এমন কিছু বলছে।’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধারণা, তুচ্ছ ঘটনায় নাটক সাজিয়ে ইমামকে ফাঁসানো হয়েছে। ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার পর গত ১৭ মার্চ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে মসজিদের ভেতরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম প্রবেশ করেছিলেন ও সবার সামনে বক্তব্যও দিয়েছিলেন, বিষয়টি দেশব্যাপী বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল।

ওই সময়ে ইমাম কয়েকটি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, তিনি সকাল থেকেই উপাচার্যের জন্য মহিলাদের নামাজের স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে বসার জায়গা করেছিলেন। কিন্তু প্রক্টর এসে উপাচার্য কেন ছোট জায়গায় বসবেন এমন প্রশ্ন করেন। উপাচার্য মূল মসজিদেই বসবেন এমন কথা বলেছিলেন প্রক্টর। পরে বাধ্য হয়ে মসজিদের ভেতরেই বসার ব্যবস্থা করা হয়। মসজিদের ভেতরে নারী পুরুষের একসঙ্গে অবস্থান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলে ইমাম তখন মন্তব্য করেছিলেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ মে রাতে শারীরিক অসুস্থ থাকায় ভুলবশত এশার নামাজ আদায় শেষে ওই ছাত্রী জবির কেন্দ্রীয় মসজিদের মেয়েদের রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে মসজিদের পাহারাদার তালা লাগাতে গেলে ওই মেয়েকে দেখতে পান। এসময় মসজিদের ওই পাহারাদারের স্ত্রী তাকে বের করে নিয়ে আসেন। তবে ইমাম বা পাহারাদার কেউই ভেতরে প্রবেশ করেননি। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ইমামকে অব্যাহতি দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

(ঢাকাটাইমস/২৯মে/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা বেরোবি প্রশাসনের

কোটা আন্দোলনে হতাহত শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার নির্দেশ জবি উপাচার্যের

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চাকরি ছাড়লেন জাবি শিক্ষক জাহিদুল

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

এইচএসসির আরও ৪ পরীক্ষা স্থগিত

এইচএসসির স্থগিত হওয়া পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর

সুনসান নীরবতায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ চবি শিক্ষকদের

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাত্রলীগ মুক্ত ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :