সুনসান নীরবতায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

কোটা আন্দোলনে দেশের প্রথম শহিদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাইদের ক্যাম্পাসে চলছে সুনসান নীরবতা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এমন ক্যাম্পাস দেখেনি কেউ। দিনের বেলাতেও তেমন কারো দেখা মিলছে না; আগে যা ছিল সারাক্ষণ প্রাণোচ্ছ্বল।
বুধবার সরেজমিনে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের কোলাহলে পূর্ণ জায়গাগুলোতে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। কোথাও কাউকে দেখা যায়নি। গাছপালাগুলো যেন মুখিয়ে আছে শিক্ষার্থীদের জন্য। কেবল নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে ডিউটিরত অবস্থায় দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেসগুলোতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের যারা আটকে পড়েছিলেন; একটু বেশি সময় কারফিউ শিথিল হওয়ায় বাস চলাচলের শুরুতেই তারা অনেকে বাড়ি চলে যান। তবে এখনো কেউ কেউ অপেক্ষা করছেন ক্যাম্পাস খোলার জন্য।
তারা বলছেন, কারফিউ চলায় খুব একটা মেস ছেড়ে কেউ বের হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে বের হলেও সেনাবাহিনীর জেরায় পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থায় ক্যাম্পাস না খুললে তারা বাড়ি চলে যাবেন বলেন জানান।
ক্যাম্পাসে ডিউটিরত এক আনসার সদস্যা বলেন, গত কয়েকদিনে ক্যাম্পাসে কাউকেই দেখা যায়নি। কারফিউ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের কেউ কেউ এসে ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন। তবে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আসতে দেখা যায়নি।
প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এবং শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এলেই ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া হবে।’
গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাইদ। এরপর থেকেই নতুন মাত্রা পায় কোটাবিরোধী আন্দোলন। সন্ধ্যার পরপরই দুঃখ ও শোক প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তি দেয় শিক্ষক সমিতি। পরের দিন বেরোবি কর্তৃপক্ষ শহিদ আবু সাইদের পরিবারের পাশে থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হাসিবুর রশীদ।
(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/এসাআইএস)

মন্তব্য করুন