টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে আফগানিস্তান যদি....

দেখতে দেখতে শেষের দিকে চলে এসেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের খেলা। গ্রুপপর্ব আর সুপার এইটে দুর্দান্ত লড়াই শেষে চার দল জায়গা করে নিয়েছে সেমিফাইনালে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) শুরু হবে সেমির লড়াই। ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠার লক্ষ্য নিয়ে এবারের আসরের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওয়ানডে ও টি-২০ বিশ্বকাপ মিলিয়ে সাতবার সেমিফাইনালে খেললেও ফাইনালের মঞ্চে ওঠার সুযোগ হয়নি প্রোটিয়াদের। চোকার্স উপাধি ঘোচাতে মরিয়া অষ্টমবারের মতো আইসিসি টুর্নামেন্টের সেমিতে ওঠা দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্য দিকে ফাইনাল ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো ইভেন্টের সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়া আফগানিস্তান।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে আগামী ২৬ জুন বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান।
গত বছরের ওযানডে বিশ্বাকপের মতো এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বাকাপেও আফগান রূপকথা লিখ চলেছেন রশিদ-নবিরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উড়াল দেওয়ার আগে আফগান অধিনায়ক রশিদ খান বলেছিলেন, ‘আমরা ট্রফি জেতার জন্য খেলব।’ অনেকেই তখন রশিদ খানের সেই মন্তব্য নিয়ে মেতেছেন হাস্যরসে।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে উগান্ডাকে হারিয়ে শুভসূচনা করে তারা। এরপর শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দেয় আফগানরা। উগান্ডা ও পাপুয়া নিউ গিনিকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করে। শেষ ম্যাচে হার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে সুপার এইটে উঠে আরো বড় চমক দেখায় তারা। ভারতের কাছে হারলেও, অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর গতকাল নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে বৃষ্টি আইনে ৮ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ করে নেয় আফগানরা। দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলা আফগানরা তাই স্বপ্ন দেখছে ফাইনালে খেলার।
অন্যদিকে চলতি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব কিংবা সুপার এইট, বেশিরভাগ ম্যাচই দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে বেশ স্নায়ুক্ষয়ী লড়াইয়ে। যদিও টানা ৭ জয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
বড় টুর্নামেন্টে শেষ দিকে খেই হারানোর জন্য বিখ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকা। এই কারণেই তো চোকার্স তকমাটা তাদের গায়ে সেঁটে আছে। চোকার্সের অর্থ হলো যারা দক্ষ এবং শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে যায়। যা কিনা একমাত্র তাদের সঙ্গেই যায়। কেননা প্রতি বিশ্বকাপেই শুরু থেকে বড় স্বপ্ন দেখিয়ে এই রাউন্ড রবিনে এসেই থেমে যায় তাদের দৌড়। শুরুটা ১৯৯২ সাল থেকে। এরপর ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭, ২০১১, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৯ টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে বিশ্বাকাপে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলার পরও তারা কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে গিয়ে বিদায় নিয়েছে। এবার আরও একবার তারা খেলছে সেমিফাইনালে। চলতি আসরে যদি আবারও তারা ‘চোকার্স’ নামের মর্যাদা টিকিয়ে রাখে তাহলে ফাইনালে খেলবে আফগানরা। রচিত হবে আরেকটি আফগান রূপকথা।
(ঢাকাটাইমস/২৬ জুন/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন