প্রশাসনের সহযোগিতায় মুক্ত জবির ১৩ শিক্ষার্থী

জবি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০১ আগস্ট ২০২৪, ২১:২৭
অ- অ+

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হলে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন থানা থেকে ছাড়িয়ে এনেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম।

ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের এসব শিক্ষার্থীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়। সেই সঙ্গে আর্থিক এবং আইনি সহায়তার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বিভিন্ন থানা থেকে ১৩ জন শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করেছি। পার্শ্ববর্তী কোতোয়ালি থানা থেকে নয়জন, সাভার থেকে একজন, টাঙ্গাইল থেকে দুজন ও লক্ষ্মীপুর থেকে একজনকে ছাড়িয়েছি। তা ছাড়া আহত শিক্ষার্থীদের তালিকা করে আর্থিক সহায়তা করারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সে জন্য তারা দৃশ্যমান সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। উপাচার্য, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টররা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদারকি করছেন।

সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শহীদুল হক বলেন, আমাদের বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী পার্থ রায়কে ধানমন্ডি থানা থেকে রিলিজ করা সম্ভব হয়েছে। বিভাগের চেয়ারম্যান, সকল শিক্ষকবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। শিক্ষকবৃন্দ যেকোনো পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে।

এ বিষয়ে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘আমার বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল সোবহান লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশের হাতে আটক হয়। এ খবর জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মহোদয় লক্ষ্মীপুর পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আলোচনার মাধ্যমে আমরা ওই শিক্ষার্থীকে থানা থেকে মুক্ত করতে পেরেছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের যেকোনো বিপদে প্রশাসন সক্রিয়ভাবে পাশে রয়েছে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমাদের যেহেতু হল নেই, বেশির ভাগ শিক্ষার্থী মেসে বসবাস করে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি চলে যেতে পেরেছে, অনেকে আবার ঢাকায় রয়েছে। এ সময়ের ভেতর পুলিশের অভিযানে আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এখন পর্যন্ত আমরা ১৩ জন শিক্ষার্থীকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বলতে চাই—কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার যাতে না হয়, সে জন্য অভিভাবক হিসেবে সব সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাশে আছে। আমি পুলিশ প্রশাসনকেও ধন্যবাদ জানাই, তাদের সহযোগিতার জন্য।’

ঢাকাটাইমস/০১/আগস্ট/পিএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
শেরপুরে ইভটিজিংয়ের জেরে যুবককে মারধর: দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১৫
আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কঠোর সরকার, সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’
জবির চার ইউনিটের প্রবেশপত্র ডাউনলোডের শেষ সময় সোমবার
জামালপুরে বিএনপির কমিটিতে আ.লীগ নেতা, তৃণমূলে ক্ষোভ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা