ছাত্র-জনতার আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ফেরানোর কোনো চেষ্টা সফল হবে না: খেলাফত মজলিস
ছাত্র-জনতার আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ফেরানোর কোনো চেষ্টা সফল হবে না মন্তব্য করেছে খেলাফত মজলিস। একইসঙ্গে দলটি সাম্প্রতিক আন্দোলনে সাধারণ ছাত্র-জনতা হত্যা, হাজারো আহত ও গ্রেপ্তার এবং সরকার বিরোধীদের ওপর নতুন করে দমন-নিপীড়নের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে, গোটা জাতি ও বিশ্বকে অন্ধকারে রেখে, কারফিউ জারি করে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার উপর সরকার যে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তার সুষ্পষ্ট প্রমাণ সোশাল মিডিয়ার কল্যাণে মানুষ দেখেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে সাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়ে মানবাধিকার সংগঠন ও নির্ভরযোগ্য মিডিয়াগুলো সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ পেয়েছে। অথচ এসব খুনের দায় নিরীহ ছাত্র-জনতা ও সরকার বিরোধীদের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু যত কূটকৌশলই করুক না কেন সরকার এ গণহত্যার দায় এড়াতে পারবে না।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী চলমান আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার হীন উদ্দেশ্যে সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। অথচ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিভিন্ন সময়ে জামায়াতের সাথে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছে। এক মঞ্চে বসে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের রূপরেখাও ঘোষণা করেছে। তখন আওয়ামী লীগের কোনো সমস্যা হয়নি। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা দেশের সংবিধানে প্রদত্ত জনগণের সভা-সমিতি, সংগঠন করার অধিকারের পরিপন্থী। সংগঠন ও রাজনীতি করার অধিকার কেড়ে নেওয়ার সংস্কৃতি রাজনৈতিক সংকটকে আরো ঘনীভূত করবে। সরকারকে মনে রাখা উচিত চলমান ছাত্র-জনতার অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন থেকে জনগণ ও বিশ্ববাসীর দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরানোর কোনো অপচেষ্টাই সফল হবে না।
খেলাফত মজলিস নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারের গণহত্যা, গণগ্রেফতার, জুলুম নির্যাতন আর সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশের সর্বস্তরের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমেছে। জনগণের এই অভূতপূর্ব ঐক্য সরকারের পতন নিশ্চিত করবে। তাই গণহত্যা আর জনগণের জান- মালের নিরাপত্তা দানে ব্যার্থতার দায় নিয়ে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
ঢাকাটাইমস/০২আগস্ট/জেবি