বগুড়ায় দুই থানায় হামলার অভিযোগ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া ও সদর থানায় হামলা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা অসহযোগ আন্দোলনের ডাকে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের দুপচাঁচিয়া উপজেলার সামনে সকাল ১০টার দিকে অবস্থান নেন। সেখানে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন। সেখানেই আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস।
এক সময় উত্তেজিত জনতা নেতাকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে হামলা করেন। পরে সেখানে থাকা একটি পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়। উপজেলা ভূমি অফিসসহ একাধিক সরকারি স্থাপনায়ও হামলা করা হয়।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ থানার মধ্যে অবস্থান নেয়। এরপর আন্দোলনকারীরা থানার গেট ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। পরে থানার মধ্যে থেকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন। এ সময় পাঁচজন আহত হন।
আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বেলা ১১টার দিকে বগুড়া সাতমাথায় আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের সামনে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। বিপরীতে কয়েক হাজার হামলাকারী অবস্থান নেওয়া শুরু করেন শহরের সাতমাথা থেকে শুরু করে আশপাশের এলাকা ও সড়কে। তারা হাতে লাঠি সোটা নিয়ে মিছিল শুরু করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় বগুড়া সদর থানায় হামলা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ডগ্রেনেড নিক্ষেপ করলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান তারা। পরে তারা শহরের খান্দার রোড, ইয়াকুবিয়া মোড়, জলেশ্বরীতলা, থানা রোড, স্টেশন সড়কে অবস্থান নেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাতমাথায় আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে।
বগুড়ার সদর ও দুপচাঁচিয়া থানায় হামলার কথা নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার জাকির হাসান।
(ঢাকাটাইমস/০৪আগস্ট/এজে)

মন্তব্য করুন