নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগে দায়মুক্তি কেন অবৈধ নয় জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল

২০১৪ ও ২০১৮ সালে নিয়োগ পাওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনারদের (ইসি) দেশের কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না বলে দেওয়া দায়মুক্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি বলেন, ‘২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের কমিশনাররা যদি অবৈধ হন, তাহলে ওই দুটি নির্বাচনও অবৈধ হবে।’
এর আগে গত ১৮ আগস্ট ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনারদের দায়মুক্তি দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পেশ করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী। একইসঙ্গে রিটে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না, এমন বিধান বাতিল চাওয়া হয়।
রিটকারীদের আইনজীবীরা জানান, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না, ২০২২ সালের আইনে দায়মুক্তি দেওয়ার এমন বিধান অসাংবিধানিক। তারা মনে করেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ ছিল অবৈধ। সে কারণে তাদের অধীনে হওয়া নির্বাচনও অবৈধ।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, ‘আইন করে নির্বাচন কমিশনকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেই দায়মুক্তির আইনে বলা হয়েছে, এটা নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। আমরা মনে করি, এটা আদালতের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।’
এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘আদালতে যদি এই দায়মুক্তির আইন অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়, তাহলে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের দুটি নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।’
(ঢাকাটাইমস/২৭আগস্ট/এলএম/এজে)

মন্তব্য করুন