কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৯টায় ওই ইউনিয়নের চরএলাহী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, চরএলাহী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুল মতিন তোতা, তার ছেলে ইব্রাহিম, ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, ইউনিয়ন শ্রমিকদল নেতা মিজানুর রহমান ও চরএলাহী ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ ১০জন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল থেকে চরএলাহী ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সদস্য ও শিল্পপতি মো. ফখরুল ইসলামের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণের কর্মসূচি দেওয়া হয়। এ কর্মসূচি সফল করতে চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসমাইল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন ও যুবদল নেতা ডা. ফরিদসহ প্রচারণা চালানোর সময় আবদুল মতিন তোতার নেতৃত্বে তার ছেলেরা বাধা দেয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা, হাতা-হাতি থেকে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতাকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে ও ইউনিয়ন শ্রমিকদল নেতা মিজানুর রহমানকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরাপর আহতদেরকে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতার ছেলে ইব্রাহিম জানান, সাবেক বিএনপি সভাপতি ইসমাইল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ ও ডা. ফরিদসহ আরও কিছু লোকের পরিকল্পনায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমার বাবার ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন জানান, আবদুল মতিন তোতা এবং তার ছেলেরা চরএলাহী ইউনিয়নে বিএনপি না করে দলীয় সাইনবোর্ড ব্যবহার করে লুটপাট দখল রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাতে আমাদের ত্রাণ বিতরণের প্রচারণায় সে ও তার ছেলেরা হামলা করে আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রনব চৌধুরী জানান, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়েছিল। এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/২৮আগস্ট/পিএস)

মন্তব্য করুন