ক্যানসার-কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বহু রোগের যম ডুমুর! ডায়াবেটিসেরও মহৌষধ
প্রকৃতির অসীম দয়া আছে মানুষের উপর। তাই তো আমাদের চারপাশ সাজানো অসংখ্য উপকারী ফল, শাক ও সবজি দিয়ে। এসব অমৃত প্রাকৃতিক উপাদানগুলোকে ডায়েটে জায়গা করে দিতে পারলেই কেল্লাফতে! তাহলেই ফিরবে স্বাস্থ্যের হাল।
কিন্তু আমাদের অজ্ঞানতা বা না জানার কারণে কিছু অত্যন্ত উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান অবহেলার পাত্র হয়েই থেকে যায় আজীবন। তেমনই এক উপেক্ষিত ফল হলো ডুমুর।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের কথায়, এই ফলে রয়েছে কপার, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, থিয়ামিন, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন কে থেকে শুরু করে একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজ।
শুধু তাই নয়, এই ফল হল অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের আঁতুরঘর। তাই নিয়মিত ডুমুর খেলে যে একাধিক রোগবিরেতের ফাঁদ এড়ানো যাবে, তা বলাই বাহুল্য! সুতরাং সুস্থ-সবল জীবনযাপনের ইচ্ছা থাকলে ডুমুরের চমকপ্রদ গুণ সম্পর্কে জেনে নিন।
কোষ্ঠকাঠিন্য নিপাত যাবে
সকালে উঠে শত চেষ্টাতেও পেট পরিষ্কার হয় না? উত্তর হ্যাঁ হলে যত দ্রুত সম্ভব ডুমুরের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিন। কারণ এই ফলে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী ফাইবারের ভাণ্ডার, যা মলকে নরম করার কাজে সিদ্ধহস্ত।
শুধু তাই নয়, এই ফলে রয়েছে প্রিবায়োটির উপাদান, যা কিনা অন্ত্রের বেহাল দশা শুধরে দিতে পারে। তাই তো কনস্টিপেশন রোগীরা প্রতিদিন একটা করে ডুমুর খেতে ভুলবেন না যেন! এতেই হাতেনাতে মিলবে উপকার।
হার্ট থাকবে সুস্থ সবল
আজকাল বয়সের কাঁটা ৩০ পেরোতে না পেরোতেই অনেকে হার্ট অ্যাটাকের মতো জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতেই হবে। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে ডুমুর।
কারণ এই ফলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা ব্লাড প্রেশার ও কোলেস্টেরলকে বাগে আনার কাজে একাই একশো। এই দুই মারণ অসুখকে বশে রাখতে পারলে যে হার্টের হাল ফিরবে, তা তো বলাই বাহুল্য! তাই সুস্থ থাকার ইচ্ছা থাকলে প্রায়দিন নিয়ম করে ডুমুর খাওয়া চালিয়ে যান।
ডায়াবেটিসের মহৌষধি
রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়লে কিডনি, হার্ট, চোখসহ একাধিক অঙ্গের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে বৈকি! তাই যেনতেন প্রকারেণ ডায়াবেটিসকে বাগে আনতে হবে। এই কাজে আপনার ব্রহ্মাস্ত্র হতে পারে ডুমুর।
কারণ এই ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই কম। ফলে প্রতিদিন এই ফল খেলেই সুগারকে বশে আনা সম্ভব হবে। সুতরাং ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়েটে অবশ্যই এই ফলকে জায়গা করে দিতে হবে। তাহলেই স্বাস্থ্য়ের হাল ফিরতে সময় লাগবে না।
ক্যানসারের ফাঁদ এড়াতে পারবেন
ক্যানসারের মতো জটিল অসুখকে যেনতেন প্রকারণে প্রতিরোধ করতে হবে। নইলে যে জীবনে ঝক্কির শেষ থাকবে না। তাই বিশেষজ্ঞরা সবাইকেই ক্যানসার প্রতিরোধের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এই কাজে আপনার সহযোদ্ধা হতে পারে ডুমুর। কারণ এই ফলে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী কিছু উপাদান, যা কিনা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি আটকে দেয়ার কাজে সিদ্ধহস্ত। সুতরাং এই মারণ রোগের ফাঁদ এড়াতে শিগগিরই ডুমুরের সঙ্গে দ্রুত বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিন।
ত্বকের জেল্লা ফিরবে
আজকাল নানা কারণে কম বয়সেই ত্বকের জেল্লা হারিয়ে যাচ্ছে। তাই সময় থাকতে থাকতেই ত্বকের স্বাস্থ্য়ের দিকে নজর ফেরাতে হবে। এই কাজে আপনার ব্রহ্মাস্ত্র হতে পারে ডুমুর।
কারণ ডুমুরে রয়েছে এমন কিছু উপকারী উপাদান, যা ত্বকের ঔজ্জল্য বাড়াবে। এমনকি ত্বককে করে তুলবে মসৃণ। তাই প্রায়দিন একটা করে ডুমুর খেতে ভুলবেন না যেন। আশা করছি, এই কাজটা করলেই ত্বকের সঙ্গে গোটা শরীরের হালও ফিরবে।
(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/এজে)