জাতীয় প্রেসক্লাবে সীমান্ত খোকনের জানাজা অনুষ্ঠিত
জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও এনটিভির সিনিয়র নিউজ এডিটর সীমান্ত খোকনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুর দেড়টায় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এই সাংবাদিকের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দসহ পরিবারের সদস্য ও জেষ্ঠ সাংবাদিকরা অংশ নেন।
জানাজার আগে স্মৃতিচারণ করে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কবি হাসান হাফিজ বলেন, ‘গতকাল যখন আমরা রুহুল আমিন গাজী ভাইয়ের স্মরণ সভায় ছিলাম, তখন তার মৃত্যুর খবর শুনেছি। আমরা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি। এতো অকাল মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। একজন কর্তব্যনিষ্ঠ, অমায়িক, বন্ধুবৎসল, দ্বায়িত্বশীল তরুণ সাংবাদিককে আমরা হারিয়েছি। তার মৃত্যুর বয়সও হয়নি। সুতরাং আমাদের মধ্যে তার স্মৃতি জাগরূক থাকবে। আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করি। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’
এনটিভির পরিচালক নুরুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্ত খোকন এনটিভি পরিবারের সদস্য ছিলেন। আমরা আমাদের এনটিভি পরিবারের সদস্য হারিয়েছি। উনি আর ফিরে আসবেন না। তবুও বলতে হয়, সীমান্ত খোকন সবসময়ই এনটিভিতে থাকবেন, আমাদের মাঝেই থাকবেন।’
সীমান্ত খোকনের ছেলে বলেন, ‘বাবার কাছে প্রেসক্লাব ছিল সেকেন্ড হোম। তিনি প্রেসক্লাবকে ভালোবাসতেন, প্রেসক্লাবের মানুষজনকে ভালোবাসতেন। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি আপনাদের সাথে ছিলেন। আমার বাবা সত্যিই একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তবুও বলবো তার যদি কোনো ভুল-ত্রুটি থাকে আপনারা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।’
জানাজা শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সীমান্ত খোকনের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
রাজধানীর চামেলীবাগের নিজ বাসা থেকে মঙ্গলবার দুপুরে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সীমান্ত খোকনের মরদেহ উদ্ধার করে পল্টন থানা পুলিশ। তার ‘রহস্যজনক’ মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সীমান্ত খোকনের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দামিহা ইউনিয়নে। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তিনি পরিবার নিয়ে চামেলীবাগে থাকতেন।
সীমান্ত খোকন জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ছিলেন। ছিলেন কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। একসময় বিনোদন সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন।
(ঢাকাটাইমস/২অক্টোবর/এমআই/এজে)