চুয়াডাঙ্গায় নিখোঁজের দুদিন পর পাখিভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় নিখোঁজের দুদিন পর আলমগীর হোসেন (৪০) নামে এক পাখিভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের ভাইমারা খালের ভেতর কচুরিপানার নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এরআগে বুধবার রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান নিয়ে বের হন আলমগীর হোসেন। বাড়ি না ফেরায় তাকে অনেক খোঁজা-খুঁজি করে পরিবারের আত্মীয়-স্বজনসহ গ্রামের লোকজন।
এ ঘটনার পরদিন আলমগীর হোসেনের ভাই জহুরুল ইসলাম আলমডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।মৃত আলমগীর হোসেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের ভালাইপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আলমগীর হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করে। পরে আমাদের একাধিক টিম আলমগীর হোসেনকে খুঁজতে থাকে। অনেক খোঁজা-খুঁজির পর আজ ভোরে চিৎলা ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী গ্রামের ভাইমারা খালের ভেতর কচুরিপানার নিচ থেকে তার মরহেদ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নিহতের গলাই দড়ি বেঁধে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। হত্যাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল পাখিভ্যান ছিনতাই।
আলমগীর হোসেনের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
নিহতের ভাই জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক খোঁজা-খুঁজির পর আজ শুক্রবার ভোরে ভাইরামা খালের ধারে এক জোড়া স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে আমার সন্দেহ হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারাও সেখানে খুঁজতে থাকে। কিছুক্ষণ পর আমার ভাইয়ের পরনের জামা পাশ্ববর্তী মাঠের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে আমাদের সন্দেহ আরও হয় এবং আশপাশে কোথাও আমার ভাইকে পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে পুলিশের টিম পাশ্ববর্তী ভাইমারা খালের ভেতর খোঁজা-খুঁজির পর আমার ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।’
আলমগীর হোসেনের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন। তিনি তার স্বামী হত্যার বিচার চান।
(ঢাকা টাইমস/০৪অক্টোবর/এসএ)

মন্তব্য করুন