প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল
সচিবের স্বাক্ষরিত চেক পেলেও টাকা তুলতে পারেননি দুই ক্যান্সার রোগী

বরগুনার পাথরঘাটায় দুজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে পাওয়া সহায়তার চেক ব্যাংকে জমা দিলেও টাকা তুলতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের হিসাবটি ব্লক বা ডরমেন্ট আছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন রুপালী ব্যাংক পাথরঘাটা শাখার ব্যবস্থাপক মো. মনিরুল ইসলাম।
জানা যায়, চলতি বছরের ১৩ মার্চ পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের তালুক চরদুয়ানী গ্রামের মো. শাহজাহানের স্ত্রী জয়নব বিবি এবং কালিবাড়ি গ্রামের মো. জামালের স্ত্রী মোসা. রাবেয়া বেগমের নামে যথাক্রমে ৫০ ও ৪০ হাজার টাকার চেক ইস্যু করা হয়। চেক দুটিতে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
ক্যান্সারে আক্রান্ত জয়নব বিবির স্বামী শাহজাহান জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রী জয়নব বিবি ক্যান্সার রোগে ভুগছে। এক প্রতিবেশীর পরামর্শে বছর খানেক আগে তার চিকিৎসার কাগজপত্রসহ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। পাথরঘাটার ইউএনও অফিসের মাধ্যমে গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের ৫০ হাজার টাকার একটি চেক পান, যার নম্বর ৭৮৩২০৬১। (সোনালী ব্যাংক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শাখা, হিসাব নম্বর ০১০৭৩৩৩০০৪০৯৩)। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হিসাব খুলে রুপালী ব্যাংক পাথরঘাটা শাখায় চেকটি জমা দেয়া হয়। দীর্ঘ দিন অপেক্ষার পর ব্যাংক থেকে জানানো হয় চেকটি নগদায়ন হয়নি।
এদিকে রাবেয়া বেগমের স্বামী জামাল হোসেন জানান, তার স্ত্রীর নামেও ৪০ হাজার টাকার একটি চেক পেলে একই নিয়মে রুপালী ব্যাংকে জমা দেয়া হয় এবং তিনিও টাকা পাননি। তার প্রাপ্ত চেক নম্বর ৭৮৩২০৪৬।
পাথরঘাটা শাখা রুপালী ব্যাংকের ব্যবস্থপক মো. মনিরুল ইসলাম জানান, জয়নব বিবি ও রাবেয়া বেগমের নামে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রদত্ত ৫০ হাজার ও ৪০ হাজার টাকার দুটি চেক নিজ নিজ ব্যাংক হিসাবে জমা করা হলেও নগদায়ন না হয়ে গত ১৪ আগস্ট ফেরত আসে। ব্যাংক থেকে জানানো হয়, হিসাবটি ব্লক অথবা ডরমেন্ট আছে।
ইতোমধ্যে চেকের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। চিকিৎসা খরচের জন্য প্রাপ্ত টাকা না পেয়ে দিনমজুর পরিবারের সদস্যরা এখন হতাশ।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান জানান, চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে প্রাপ্ত টাকা যাতে আবেদনকারীরা পেতে পারেন, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে আবার চেক ইস্যুর জন্য অনুরোধ করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/১০অক্টোবর/মোআ)

মন্তব্য করুন