ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ৭ ইহুদিকে গ্রেপ্তার করল ইসরায়েল

ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে সাত ইসরায়েলি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে জায়নবাদী দেশটির পুলিশ। গত মাসে তাদের গ্রেপ্তার করা হলেও সোমবার বিষয়টি প্রকাশ করে ইসরায়েলি কতৃপক্ষ।
ইসরায়েলি প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ইরানের জন্য দুই বছরে প্রায় ৬০০ মিশন পরিচালনা করেছে বলে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলি পুলিশের গুরুতর অপরাধ ইউনিটের (লাহাভ৪৩৩) প্রধান সুপারিনটেনডেন্ট ইয়ারন বিনয়ামিন বলেছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগটি হচ্ছে যুদ্ধকালীন সময়ে শত্রুকে সহায়তা করা, যার শাস্তি মৃত্যু বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সন্দেহভাজনরা ইসরায়েলের হাইফা এবং উত্তরাঞ্চলের বসবাস করত এবং আজারবাইজানি বংশোদ্ভূত। তাদের মধ্যে একজন সাবেক ইসরায়েলি সৈনিক রয়েছেন, যিনি সামরিকবাহিনী থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।পাশাপাশি ১৬ ও ১৭ বছর বয়সী দুইজন কিশোরও রয়েছে।
প্রাপ্তবয়স্ক গ্রেপ্তারকৃতদের নাম— আজিস নিসানভ, আলেকজান্ডার সাদিকভ, ভ্যাচেস্লাভ গুশচিন, ইয়েভজেনি ইয়োফে এবং ইগাল নিসান। তবে কিশোররা নাবালক হওয়ায় তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
ইসরায়েলের সংবাদ মাধ্যম চ্যানেল১২ এক প্রতিবেদনে বলছে, নিসানভকে মূলত আজারবাইজানের একজন গুপ্তচর কাজে নিয়োগ করেছিলেন, যিনি নিজেকে ‘আলখাসান’ বলে পরিচয় দিতেন। পরে নিসানভ বাকি ছয়জনকে নিয়োগ করে, যার মধ্যে কয়েকজন তার আত্মীয়।
ইসরায়েলি পুলিশ বলছে, এক তুর্কি মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে ইরানি এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল তারা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে রাজধানী তেল আবিবের কিরিয়া প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর এবং নেভাতিম এবং রামাত ডেভিড বিমান ঘাঁটিসহ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর— আইডিএফ ঘাঁটি এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ আয়রন ডোমের ব্যাটারি, বন্দর ও জ্বালানি অবকাঠামোর ছবি তোলা এবং তথ্য সংগ্রহ করার অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে বেশকিছু স্থান রয়েছে, যেগুলো গত বছর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবা শিন বেটের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের দেওয়া তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করে নেভাতিম ঘাঁটিতে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান এবং রামাত ডেভিড বিমান ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করেছিল হিজবুল্লাহ।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/এমআর)

মন্তব্য করুন