কেনা বইয়ে সাঈদীর নাম থাকায় চাকরি হারান নোবিপ্রবির সাবেক ইমাম!

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মসজিদ লাইব্রেরির জন্য কেনা একটি বইয়ে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম থাকায় শেখ হাসিনার আমলে চাকরি হারান তৎকালীন ইমাম মো. আহসান উল্লাহ। চাকরি ফিরে পেতে সম্প্রতি আবেদন করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতর বরাবর তার আবেদনপত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়। ওই সময়ে চাকরি হারানো আরও অনেকের ঘটনার তদন্ত করছে বিশ্ববিদ্যালয়।
ঘটনার বিস্তারিত জানতে ঢাকাটাইমস কথা বলে ইমাম মো. আহসান উল্লাহর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘২০১২ সালে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ পাঠাগারের জন্য কিছু বই কেনার নির্দেশনা দেয়। আমি কিছু বই কিনি, যার মধ্যে একটি বই-এর ভূমিকায় লেখক জানান এই বই প্রকাশনা উৎসবে বায়তুল মোকাররমের খতিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রফেসর এবং বিশ্বনন্দিত মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ আরও অনেকে ছিলেন।’
‘আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম কেন লেখা ছিল, এ জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং ভিসির নির্দেশে আমাকে ইমাম পদ থেকে চুক্তি বাতিল করা হয়।’ বলেন ইমাম আহসান উল্লাহ।
ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ছিলেন অধ্যাপক ছায়েদুল হক। ইমাম আহসান উল্লাহ বলেন, ‘আমাকে মার্চ মাসের ২০ তারিখ জানানো হয় ১০ তারিখ থেকে আমার চাকরি নেই। একটি বইয়ের ভূমিকায় লেখক মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম লেখায় আমাকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়। আমি বর্তমান প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার কামনা করছি।’
সম্প্রতি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগে বহিষ্কার, স্থায়ীভাবে অব্যাহতি এবং নিয়োগপত্র দিয়েও যোগদানপত্র গ্রহণ করা হয়নি, এ সংক্রান্ত সব আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকারকে সদস্য সচিব করে ১০ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। রেজিস্ট্রার দফতরের এক অফিস আদেশ থেকে এই বিষয়টি জানা যায়।
এই বিষয়ে তদন্ত ও প্রতিবেদন জমাদান কমিটির সদস্য-সচিব ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকার বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
জানতে চাইলে তদন্ত ও প্রতিবেদন জমাদান কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কমিটি ইমাম আহসান উল্লাহর সাক্ষাৎকার নিয়েছে। আইনগত দিক পর্যালোচনা করে আমরা আগামী মাসের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেব।’
(ঢাকাটাইমস/১০ডিসেম্বর/মোআ)
মন্তব্য করুন