কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

উত্তরের হিমেল হাওয়ায় ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনপদ। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে চারদিক। এরই মধ্যে বইতে শুরু করেছে চলতি শীত মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ।
পৌষের শুরুতেই গত কয়েকদিন থেকে মধ্যরাতে বৃষ্টির মতো করে পড়ছে কুয়াশা। ঢাকা পড়েছে সূর্য। জেলার ৯ উপজেলার মানুষ শীতের প্রকোপে চরম বিপাকে পড়েছেন। সবচেয়ে কষ্টে রয়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা। সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
ঘন কুয়াশায় সূর্য ঢাকা পড়ায় রোদের উষ্ণতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন লোকজন। ফলে দিনের বেলাতেও খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। রাতের বেলায় পুরনো কম্বল ও কাঁথা দিয়ে কেউ কেউ শীত নিবারণ করলেও দিনের বেলায় পড়তে হয় বিপাকে। দিনের বেলায় গরম পোশাকের অভাব দেখা দেওয়ায় পুরনো কাপড় জড়িয়ে কাজে বের হতে দেখা যায় দিনমজুর শ্রমিকদের।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, ’এই এলাকাটা ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত। নদের ঠান্ডা বাতাসে গরিব মানুষরা খুবই কষ্টে আছে। সরকার থেকে ১২টার মতো কম্বল দিছে, বাকি লোকগুলা পায় নাই।’
দিনমজুর তপন চন্দ্র বলেন, ’রাইতত গতবারের কম্বল দিয়া ঠান্ডা পার করি, দিনত পরার মতো গরম জামা নাই হামার। কম্বল না দিয়া গরম জামা দেও।’
একই ইউনিয়নের ঔষধ ব্যবসায়ী আজিজ মিয়া বলেন, ’গত দুইদিনের থেকে আজকের ঠান্ডাটা খুব বেশি। আজ বাতাসের কারণে সূর্যের উত্তাপ গায়ে লাগছে না। ঘন কুয়াশায় সব ধোঁয়াশা লাগে।’
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘আজ জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরো নিম্নগামী হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। চলতি মৌসুমে আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি।’
(ঢাকাটাইমস/২৫ডিসেম্বর/এজে)

মন্তব্য করুন