সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের পুকুরের মাছ বিক্রি করলেন বিএনপি নেতা!

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের হোস্টেল সংলগ্ন পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, টেন্ডার ছাড়াই পৌর ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিনুর রহমান কচি পুকুরের মাছ ধরে বিক্রি করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০ জানুয়ারি ভোরে বিএনপির নেতা কচি পুকুরের মাছ ধরেন এবং সেগুলো বিক্রি করেন। বিষয়টি নিয়ে মতিনুর রহমান কচি ও সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে অসংগতি রয়েছে।
মতিনুর রহমান কচির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কলেজের খাল ও ছোট পুকুরটি টেন্ডারের মাধ্যমে এক বছরের জন্য লিজ নিয়েছি। তবে হোস্টেলের সংলগ্ন পুকুরের মাছ বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বদরুল মিল্লাতের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকায় কিনেছি।’
তার এই দাবি অস্বীকার করে অধ্যাপক বদরুল মিল্লাত বলেন, ‘আমি পুকুরের মাছ বিক্রি করিনি। কলেজের ক্রয় ও টেন্ডার কমিটি আছে, তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
কলেজের ক্রয় ও টেন্ডার কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর মনতাজাবুর রহমান জানান, কলেজের খাল ও ছোট পুকুরটি টেন্ডারের মাধ্যমে লিজ দেওয়া হয়েছে। তবে হোস্টেল সংলগ্ন পুকুর লিজ দেওয়া হয়নি এবং সেখানে মাছ ধরার অনুমতিও দেওয়া হয়নি কাউকে।
তবে টেন্ডার কমিটিকে না জানিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাসেম হোস্টেলের পুকুরে মাছ ধরার মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয় বলে জানান। তিনি বলেন, ‘উদ্দেশ্য ছিল কিছু মাছ বিক্রি করে পুকুরে নতুন মাছ ছাড়া। তবে টেন্ডার কমিটি এ বিষয়ে অবগত নয়।’
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মতিনুর রহমান কচির বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বিএনপির সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে।
প্রশাসনও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের পুকুর নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। ঘটনা তদন্তের দাবি জানান তারা।
(ঢাকাটাইমস/২১জানুয়ারি/মোআ)

মন্তব্য করুন