কুমিল্লায় যুবদল নেতার মৃত্যুতে হাসনাত আবদুল্লাহ
‘যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে- এইটা কবে শুনবো?’

যৌথবাহিনী হেফাজতে কুমিল্লায় যুবদল নেতা মো. তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনার দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানো হয়েছে। তবে সরকারের এ ধরনের বক্তব্য পুরোনো বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
সোমবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের একটি পোস্ট শেয়ার করে এ কথা বলেন তিনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ তার পোস্টে লিখেছেন, “জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ এইটা অনেক পুরাতন আলাপ। ‘যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে’- এইটা কবে শুনবো?”
অন্যদিকে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার পোস্টে লিখেছেন- ‘কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর হেফাজতে সংঘটিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা। তাৎক্ষণিকভাবে যৌথ বাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এদিকে শনিবার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনায় কুমিল্লা সদর সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক ও ইটাল্লা গ্রামের মো. তৌহিদুল ইসলামকে তার বসতঘর থেকে তুলে নিয়ে যায় যৌথ বাহিনী। তারপর শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মোরশেদ মোবাইল ফোনে তৌহিদের ভাই আবুল কালাম আজাদ টিপুকে জানান, শহরতলীর গোমতী নদীর পাড়ের গোমতী বিলাশ নামক স্থানে আহত অবস্থায় তৌহিদ পড়ে রয়েছেন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। তখন তৌহিদের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে গিয়ে তৌহিদের লাশ দেখতে পান।
শুক্রবার রাতে নিহত যুবদল নেতা তৌহিদের পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়, যৌথ বাহিনীর হাতে আটকের পর ওই যুবদল নেতার মৃত্যু হয়। অমানবিক নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয় বলেও গণমাধ্যমে অভিযোগ করেন। তিনি জানান তার ভাইয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
(ঢাকাটাইমস/০১ফেব্রুয়ারি/এমআর)

মন্তব্য করুন