নোয়াখালীতে যুবলীগকর্মী জাকির হত্যামামলা তুলে নিতে পরিবারকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের মাটি ব্যবসায়ী ও যুবলীগকর্মী জাকির হোসেন হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলা তুলে নিতে তার পরিবারকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে আসামিরা। মামলা তুলে না নিলে বাদীর অবস্থা ভিকটিমের চেয়ে আরও ভয়াবহ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সকালে চৌমুহনীতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ করেন নিহত জাকিরের স্ত্রী ও মামলার বাদী ফাতেমা খাতুন হীরা। এসময় তার পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফাতেমা খাতুন হীরা অভিযোগ করে বলেন, “যুবলীগ করার কারণে গত ৫ আগস্টের পর থেকে এক প্রকার আত্মগোপনে ছিল জাকির। এর মধ্যে কখনো সে বাড়িতে যায়নি। গত কিছুদিন আগে সোনাপুর বাজারে আমাদের নিজস্ব কিছু মাটি কাটার সময় স্থানীয় নজরুল, ইউছুফ, রাসেলসহ মামলার অন্য আসামিরা চাঁদা দাবি করে এবং পরে সেই টাকা না পেয়ে বেকু মেশিনে আগুন ধরিয়ে দেয়। গত ১৩ মে তাদের পরিচিত একজন মেশিনটি মেরামতের জন্য চৌমুহনীতে জাকিরের কাছে আসেন।
তিনি আরও বলেন, দুপুরে চৌমুহনী চৌরাস্তার সুপার স্টার হোটেল থেকে ওই ব্যক্তিসহ জাকির ভাত খেয়ে বের হলে রাসেল, রাকিব, ইউছুফ, বাবু, তুহিন, মিশু ও সাদ্দামসহ কয়েকজন জাকিরকে ধরে সিএনজিযোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখান থেকে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে তারা সোনাইমুড়ীর বিভিন্ন সড়কে ঘুরিয়ে চলন্ত সিএনজিতে শ্বাসরোধ করে জাকিরকে হত্যা করে বেগমগঞ্জের পলোয়ান পোলের কাছে খালের মধ্যে ফেলে দিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাদের ধাওয়া করে এবং বাবু ও সিএনজিচালককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।”
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, জাকিরকে হত্যার ঘটনায় তিনি বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই থেকে মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। তার বাড়িতে এসে জাকিরের চেয়ে আরও ভয়াবহ পরিণতি হবে বলে হুমকি দিয়ে গেছেন মামলার আসামি হেজবুলের স্ত্রী। সবশেষ গত ১৯ মে বিকেলে মামলা তুলে নিতে তাকে ৭২ ঘণ্টার সময় দেয় মামলার আসামিরা। বর্তমানে তিনি সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে অনত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও জানান। এ বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিত কামনা করেছেন হীরা।
(ঢাকাটাইমস/২১মে/এফএ)

মন্তব্য করুন