ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ, নোবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল ও কর্মসূচি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, নোবিপ্রবির 'মার্চ ফর জাস্টিস' কর্মসূচি ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ কর্তৃক সংঘটিত সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যথাযথ বিচারের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পকেট গেইট এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক নুর হোসেন বাবু, সদস্য সচিব সাহারাজ উদ্দীন জিহান, ছাত্রদল নেতা জাহিদ হাসান, সাব্বির হোসাইন শান্ত, আল জকি হোসাইন, হাসিব হোসেন, মেহেদী হাসান বাঁধন প্রমুখ।
শেখ হাসিনার আমলে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্তৃক সংঘটিত সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচার ও সাজা নিশ্চিত করা এবং আওয়ামী দোসর হিসেবে ভূমিকা পালনকারীদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে নোবিপ্রবি ছাত্রদলের এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়, পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরেও ছাত্রদলের এই রকম কর্মসূচিকে ঘিরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা ও নানাবিধ প্রশ্ন। অনেক শিক্ষার্থী দেখছেন প্রশাসনের দুর্বলতা হিসেবে।
নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও দলীয় ব্যানারে ছাত্রদলের মিছিল ও কর্মসূচির বিষয়ে ছাত্রদল নেতা জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত বিষয়ে সবসময় শ্রদ্ধাশীল ছিলাম এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাইকোলজি মাথায় রেখে আমরা বিগত ছয় মাস ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কোনো প্রকার মিছিল ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করিনি। কিন্তু বর্তমানে আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ছাত্রলীগ পুনর্বাসিত হচ্ছে এবং প্রশাসন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের বিচার করতে অক্ষম হয়েছে এবং ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রকার গুপ্ত রাজনীতি চলছে। তাই আমরা সন্ত্রাসের ছাত্রলীগ ও আওয়ামী দোসরদের বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়েছি।’
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ.এফ.এম আরিফুর রহমান বলেন, ‘প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্যাম্পাসে সব ধরনের লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ। ছাত্রদলের ক্যাম্পাসের ভেতরে কর্মসূচির বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যার প্রোভিসি স্যার সহ আমরা ক্যাম্পাসের বাহিরে ছিলাম ওই সময়। আমরা জানতে পেরে সহকারী প্রক্টরদ্বয় কে পাঠিয়েছে। আমরা এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিব।’
(ঢাকা টাইমস/০৭ফেব্রুয়ারি/এসএ)

মন্তব্য করুন