সুস্থ দেহে সুন্দর মন, জানুন নীরোগ থাকার মন্ত্র

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৯
অ- অ+

মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ এবং ফিট থাকা জরুরি। সুখি সুন্দর জীবন যাপনের জন্য সুস্থতার বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে মনও ভালো থাকেনা। “সুস্থ দেহে সুন্দর মন এটি একটি প্রবাদ বাক্য যা সর্বকালে সত্য বলে প্রমাণিত।

শরীর যদি রোগ ব্যাধির কবলে পড়ে নষ্ট হতে থাকে তখন জীবনের কোনও আনন্দই আনন্দ বলে মনে হয় না। শরীর আমাদের শক্তির আধার। শরীর যত সুস্থ থাকবে মন থাকবে উত্ফুল্ল।

সুস্থতায় সুন্দর, সুন্দরই জীবন তাই দেহ মনে সুস্থ সুন্দর স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য সুস্থ দেহে সুন্দর মন অত্যাবশক। মন ছাড়া দেহ এককভাবে চলতে পারেনা। ব্যায়াম ও খেলাধুলা শুধু দেহের বৃদ্ধি ঘটায় না, মনেরও উন্নতি সাধন করে। শরীর ও মন একে অপরের পরিপূরক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ ও ফিট থাকতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে তা হলো ডায়েট। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীতে এমন অনেক কৌশল রয়েছে যা শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির জীবনকে দীর্ঘায়িত করে না, বরং প্রকৃত বয়সের চেয়ে কম বয়সী দেখায়।

বিশেষজ্ঞরা মেপে খাওয়া, শরীরচর্চা করা, নেশার মাত্রা কমানোর পরামর্শ দেন। তবে সেই সঙ্গে এমন কিছু অভ্যাস মেনে চলতে হয়, যা শরীরের পাশাপাশি মনও ভাল রাখবে। আর মনমেজাজ ভাল থাকলে যে কোনও কাজেই উৎসাহ পাওয়া যাবে। ‘হ্যাপি হরমোন’-এর নিঃসরণ হবে যা শরীরকে সতেজ ও চনমনে রাখবে।

চিকিৎসেকের মতে, পরিমিত খাওয়া আর শরীরচর্চা যেমন জরুরি, তেমনই মনের চাপ কমাতে আরও কিছু কাজও করতে হবে। এখনকার ব্যস্ত সময়ের সবচেয়ে বড় অসুখ হল মানসিক চাপ। তাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেই আরও অনেক অসুখবিসুখ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে। জেনে নিন শরীর সুস্থ ও মন ভালো রাখতে যেসব অভ্যাস রপ্ত করবেন

খাওয়াদাওয়া পছন্দের হতে হবে

শরীর ঠিক রাখতে হলে সুষম খাবার খেতেই হবে। চিকিৎসক বলছেন, এমন খাবার বেছে নিন যা খেলে মনের তৃপ্তিও হবে, আবার শরীরে পুষ্টির মাত্রাও বজায় থাকবে। ওজন কমাতে হবে বলে একঘেয়ে ডায়েট করতে গিয়ে বিরক্তি আরও বাড়ে। তখন আরও বেশি করে বাইরের খাবার খেতে মন চায়। তাই ঘরের খাবারকেই এমন ভাবে উপাদেয় বানাতে হবে যাতে ক্যালোরির মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে ও খাবারের প্রতি অনীহাও না তৈরি হয়।

ঝেড়ে ফেলুন মনের অশান্তি

সারাক্ষণ মাথায় গিজগিজ করে হাবিজাবি চিন্তা? অল্পেই উদ্বেগ বাড়ে। মন সারা ক্ষণই চঞ্চল, অস্থির। অহেতুক দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত উদ্বেগ কেবল মানসিক চাপই বাড়ায় না, মারাত্মক মানসিক রোগের কারণও হয়ে উঠতে পারে। আর দুশ্চিন্তার সময় এমন কিছু হরমোনের নিঃসরণ হয়, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই মানসিক চাপ থেকে রেহাই পাওয়া খুব জরুরি। সে জন্য নিয়ম করে কিছুটা সময় বার করে মেডিটেশন বা ধ্যান করতেই হবে। নিয়মিত কিছু যোগাসন অভ্যাস করলেও মনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর হয়। প্রশিক্ষকের থেকে শিখে নিয়ে করাই ভাল।

আলস্য একদম নয়

আলস্য পেয়ে বসতে দেবেন না। সব সময় নিজের লক্ষ্য সামনে রাখুন। হাসির ছবি দেখুন, মন ভাল করে এমন কাজ করুন। গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে রাখবেন না। আমরা কাজ ফেলে রাখি যত ক্ষণ না সেটা আবশ্যিক হয়ে পড়ে। রোজ কী কী করবেন তার তালিকা বানিয়ে রাখুন। এমন কাজ করুন যাতে মনের উপর চাপ না পড়ে।

যোগাযোগ বাড়ান

সমাজমাধ্যমে ডুবে থেকে সামাজিক যোগাযোগের রাস্তাগুলিই প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। চিকিৎসক জানাচ্ছেন, কার নতুন জামা হল, কার গয়না হল, কে নতুন গাড়ি কিনল, কার সন্তান দারুণ রেজ়াল্ট করেছে, কার বই বেরোল, কার ঘরে কী সুখাদ্য রান্না হল, এইরকম আত্মঘোষিত ‘সুখী’ গৃহকোণগুলির বিজ্ঞাপন দেখতে দেখতে মনের বিষাদ আরও বাড়ে। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমও হয়ে উঠেছে সেই সমাজমাধ্যমই। তাই ভার্চুয়াল জগতের নেশা ছেড়ে, দেখা-সাক্ষাৎ, গল্প-আড্ডা বাড়াতে হবে। যত বেশি সামনাসামনি মেলামেশা করবেন, ততই মন আনন্দে থাকবে।

ভাল ঘুম

তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ, সুস্থ, সবল থাকতে রাতের ঘুম প্রয়োজনীয়। অকারণে তাই রাত জাগবেন না। ল্যাপটপ বা মোবাইলে গল্প করে সময় নষ্ট করবেন না রাতে। নিয়ম মেনে কাজ করলে রাত জেগে আপনাকে ফেলে রাখা কাজও করতে হবে না।

(ঢাকাটাইমস/২৪ এপ্রিল/আরজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে নতুন ঘর পেল চার জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ পরিবার
ঈদের আগেই আসছে নতুন নোট, নকশায় থাকছে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি
টাঙ্গাইলে ৫ বছরেও অসমাপ্ত ব্রিজের নির্মাণকাজ! ঠিকাদার লাপাত্তা ৬ মাস 
সাবেক এনআইডি ডিজি সালেহ উদ্দিনের এনআইডি ‘ব্লকড’
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা