সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য
২৪ গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের ২৫ শহীদ শিক্ষার্থী পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই সহায়তা দেওয়া হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান। আরও বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিদ্দিক জোবায়ের, বিশেষ অতিথি জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ ও সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের রক্তমাখা ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে। পাঠ্যসূচিতে এ ইতিহাস অন্তর্ভুক্তির কাজ চলছে। এ ব্যাপারে সরকারের সাথে একযোগে কাজ করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।’
উপাচার্য বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শহীদ আবু সাইদ ও শহীদ মীর মুগ্ধসহ অন্য শহীদদের নামে স্মৃতিফলক, অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরি ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এই শহীদ স্মৃতি চিরতরে ধারণ করার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি চালু করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, ‘শিক্ষাখাতে যে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এর পিছনের কারণ খুঁজে বের করতে হবে।‘ তিনি আরও বলেন, ‘অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা লাভের সব ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।’
বিশেষ অতিথি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, ‘অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত সব শিক্ষার্থী পরিবারের যেকোনো যৌক্তিক দাবি মেটাতে আমরা পাশে আছি।’
প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, ‘তার মতো যেন কোনো ভাই, বোন, মা, বাবাকে স্বজনহারা হতে না হয়। তিনি স্বজন হারানো এ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে সরকার ও দেশের সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন।’
আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্বজন হারানো পরিবারগুলোর আর্তনাদে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। এ অনুষ্ঠানে অধিভুক্ত কলেজের শহীদ শিক্ষার্থীদের ২৫টি পরিবারকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তিন লাখ টাকা করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ দেওয়া হয় প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকার চেক।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নুরুল ইসলাম, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম, শহিদ পরিবারের সদস্যরা, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ।
(ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বর/মোআ)
মন্তব্য করুন