জিএম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী: ব্যারিস্টার আনিসুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১০ জুলাই ২০২৫, ১৯:২২| আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৫, ২০:১৫
অ- অ+

জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, জিএম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী। তিনি কারও পরামর্শ মানেন না। নিজের ইচ্ছেমতো দল চালান।

জিএম কাদেরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে আনিসুল বলেন, কাউন্সিল দেন। তখন দেখব আপনি কত ভোট পান আর আপনার বিপরীতে যে দাঁড়াবে সে কত ভোট পায়। দলের ভিতর আপনার স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাই একমত। কিন্তু দল থেকে বহিষ্কারের ভয়ে অনেকে মুখে খুলে না।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত জাতীয় পার্টির একাত্মতা প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির চলমান বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন সাবেক এমপি ও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও কুমিল্লার সাবেক এমপি অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলনের নেতৃত্বে দলটির প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী

জিএম কাদেরের অনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে একাত্মতা প্রকাশ অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মুজিবুল হক চুন্নুর হাতে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে জাতীয় পার্টির বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন দলটির নেতাকর্মীরা।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, এ টি ইউ এম তাজ রহমান, নাজমা আক্তার, মোস্তফা আল মাহমুদ, জহিরুল ইসলাম জহির, আরিফুর রহমান খান, মাসরুর মওলা, জসীম উদ্দীন ভূঁইয়া।

সভাপতির বক্তব্যে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক নতুন প্রেক্ষাপটে জাতীয় পার্টির বিরাট সম্ভাবনা আছে। এই সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে আমরা দলকে ঐক্যবদ্ধ করছি। কোনোভাবেই জাতীয় পার্টিকে ভাঙতে দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, অনেক কষ্ট করে এই পার্টি করেছি, এই পার্টি যেন মুসলিম লীগ, জাসদের মতো হয়ে না যায়। সেজন্য জাতীয় পার্টিকে বড় করার চেষ্টা করছি। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, জাতীয় পার্টি ভাঙবে না, আরো বৃহৎ হবে।

ব্যারিস্টার আনিসুল বলেন, এরশাদ সাহেব আমাকে বলে গেছেন, এ পার্টি যেন সাধারণ মানুষের মাঝে থাকে। সেজন্য আমরা কাজ করছি। আমরা যখন দেখলাম পদ নিয়ে পার্টিতে বাণিজ্য হয়, তখন আমি বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য চেয়ারম্যানকে বলেছি। কিন্তু চেয়ারম্যান তা বন্ধ করেন নাই। গণতান্ত্রিক উপায়ে পার্টি পরিচালনার জন্য ২০-১ ক ধারা বাতিল করার জন্য বলেছি। তিনি তাও শোনেননি।

জিএম কাদের কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলেন, কিন্তু তিনি দলে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছেন- এমন মন্তব্য করে এই সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বলেন, এরশাদ সাহেবও কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের সাথে আলোচনা ছাড়া নিতেন না। কিন্তু জিএম কাদের বলেন আমি চেয়ারম্যান আমার কথাই সব। এভাবে কোনো রাজনৈতিক দল চলতে পারে না। সকলের সাথে আলোচনা ছাড়া কোনো সরকারও চলে না। অথচ জিএম কাদের, নিজের কর্তৃত্ব বজায় রেখে দলের চালাতে চান।

এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, বাংলাদেশে একটি জাতীয় পার্টি থাকবে। দুইটা জাতীয় পার্টি থাকবে না। কোনো সিন্ডিকেটের মধ্যে জাতীয় পার্টি বন্দী থাকবে না। জাতীয় পার্টি হবে সকল তৃণমূলের নেতাকর্মীদের।

হাওলাদার বলেন, দেশ আজ অনিশ্চিতার মধ্যে আছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে একটা পরিবর্তন হয়েছে। পরিবর্তন সময়ের দাবি। আমাদের দলেও পরিবর্তনের সময় এসেছে, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় পার্টিকে গড়ে তুলতে চাই। সময়ের দাবিতে, গণতান্ত্রিক উপায়ে পরিচালিত হবে দল।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জিএম কাদের অসাংগঠনিক, অগণতান্ত্রিক ও বেআইনিভাবে আমাদের ১১ জনকে অব্যাহতি দিয়েছে। এই অব্যাহতি আমরা মানি না। আমরা আগামী কাউন্সিল পর্যন্ত নিজ নিজ পদে বহাল আছি। জি এম কাদের এককভাবে তার স্ত্রীকে নিয়ে সিন্ডিকেট করে দল চালাতে চায়। কিন্তু আমরা যারা এ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা, তারা কোনভাবে জাতীয় পার্টিকে ভাঙতে দেব না, ছোট হতে দেব না, কোন সিন্ডিকেটের হাতে জাতীয় পার্টিকে তুলে দিতে পারি না।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা সরদার শাহজাহান, হারুন আর রশীদ, ভাইস-চেয়ারম্যান শেখ আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, আমানত হোসেন আমানত, শফিকুল ইসলাম শফিক, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ বেলাল হোসেন, ফখরুল আহসান শাহজাদা, দফতর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা,যুগ্ম সম্পাদক সেকান্দার আলী সেরনিয়াবাত, শারমিন পারভীন লিজা,মাশুক আহমেদ,ডাঃ সেলিমা খান, শাহনাজ পারভীন, শরফুদ্দিন আহমেদ শিপু,কেন্দ্রীয় নেতা - আব্দুস সাত্তার, মিজানুর রহমান দুলাল, জিয়া উর রহমান বিপুল, জাকির মাহমুদ সেলিম,তাসলিমা আকবর রুনা, ফজলে এলাহী সোহাগ, মোঃ মিজানুর রহমান, আলমগীর হোসেন,কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাহমুদুল আনোয়ার, কেন্দ্রীয় সদস্য আমিনুল হক সাইদুল, মাহবুবুর রহমান কামাল, নারায়নগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু রিপন বাওয়াল, আনিসুর রহমান বাবু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি কাজী মোঃ মহসিন, সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু, সোনারগাঁও উপজেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জাকির সরকার, সহিদ বাদশা মেম্বর, দেলোয়ার খান, আরিফুর রহমান, সদস্য সচিব সেকান্দার আলী, ইয়ামিন সুজন, জহির হোসেন প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সিরাজগঞ্জে সরকারি অফিস ‘দখল করে’ জামায়াতের কার্যালয়ে
গণবিরোধিতার কারণে বিশেষ গোষ্ঠীকে দেশের মানুষ অনেক আগেই হলুদ কার্ড দেখিয়েছে: সেলিম উদ্দিন 
চিলড্রেন্স পার্টি কথাবার্তা শুনে আমাদের বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই: মির্জা আব্বাস 
খুলনায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষ, রেল যোগাযোগ বন্ধ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা