নামাজের ভেতরে আত্তাহিয়াতু এলো যেভাবে
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ইবাদাত নামাজ। দুই, তিন এবং চার রাকায়াত নামাজে যে নিয়মগুলো পালন করা আবশ্যক, তার মধ্যে একটি হলো আত্তাহিয়াতু পড়া। যারা নামাজ পড়েন, তারা সবাই এই নিয়ম যথাযথভাবে পালন করেন। কিন্তু নামাজের মাঝে এই আত্তাহিয়াতু পড়ার পেছনের গল্পটা কি জানেন?
আত্তাহিয়াতু আসলে মহান আল্লাহর সঙ্গে আমাদের শেষ মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর কথোপকথনের একটা অংশ। মহানবী (সা.)-এর মিরাজ যাত্রার সময় এই কথোপকথন হয়েছিল। মহানবী (সা.) যখন আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথন শুরু করেন, তখন তিনি আল্লাহকে সালাম দেননি অর্থাৎ আসসালামু আলাইকুম বলেননি।
এর কারণ, সালামের অর্থ হলো- আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। কিন্তু আমরা মহান আল্লাহকে এটা বলতে পারব না যে, আল্লাহ আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক! কারণ, আল্লাহই তো একমাত্র মহাবিশ্বের সকল শান্তি আর রহমতের মালিক। তাহলে মহানবী (সা.) কী বলেছিলেন?
তিনি আল্লাহকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন- আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস-সালাওয়াতু ওয়াত-ত্বায়্যিবাতু।’ যার অর্থ- ‘যাবতীয় সম্মান, যাবতীয় উপাসনা ও যাবতীয় পবিত্র বিষয় আল্লাহর জন্য।’
উত্তরে মহান আল্লাহ বলেছিলেন- ‘আস-সালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।’ অর্থ- হে নবী; আপনার ওপরে শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও সমৃদ্ধিসমূহ নাজিল হোক।’
এর উত্তরে মহানবী (সা.) বলেন- ‘আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিছ ছালিহীন।’ অর্থ- ‘আল্লাহর সমৃদ্ধি শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের ওপরে ও আল্লাহর সৎকর্মশীল বান্দাদের ওপর।’
মহান আল্লাহ এবং মহানবী (সা.)-এর এই কথোপকথন শুনে ফেরেস্তারা বলেন- ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।’ অর্থ- ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সা.) তার বান্দা ও রাসূল।’
এখন আমি এবং আপনি আত্তাহিয়াতুর গুরুত্ব এবং পেছনের ইতিহাস জানতে পারলাম। এবার একটু চিন্তা করুন তো, এই লেখাটি যদি আপনার মাধ্যমে অন্যান্য মানুষ জানেন, তাহলে তারাও এই দোয়ার গুরুত্ব বুঝতে পারবেন! ইনশাআল্লাহ। এভাবে প্রতিটি দোয়ারই একটি পেছনের গল্প আছে।
(ঢাকা টাইমস/১৮নভেম্বর/এজে)
মন্তব্য করুন