চীনামাটি পাচার, দেখেও না দেখার ভান প্রশাসনের
হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবাধে পাচার হচ্ছে খনিজ সম্পদ চীনামাটি। প্রশাসনের নাকের ডগায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওপর ট্রাক বোঝাই করে এ পাচার কাজ চলছে। প্রশাসন এসব দেখেও না দেখার মতো থাকে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সরকারি অনুমতি ছাড়াই এ পাচার কাজ অব্যাহত রাখায় স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে জনমনে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিযোগ করেন, ভূমি অফিসের লোকজন পাচারে সহায়তা করছেন। কেউ মাটি পাচারের তথ্য জানালে ভূমি অফিসের লোকেরা তার নাম পাচারকারীদের কাছে প্রকাশ করে দেন। এতে তথ্যদাতা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন।
তারা জানান, প্রতিটি ট্রাকে মাটি ভর্তি করতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। এতো সময়ের মধ্যেও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের লোকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেন না। তাদের চার ঘণ্টা লেগে যায়! ফলে পাচারকারীদের হাতেনাতে ধরতে পারেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার রতনপুর এলাকার এক্তিয়ারপুর রাস্তার পাশে এবং ছালেহাবাদ মাদ্রাসার কাছের ব্যক্তি মালিকানাধীন ও সরকারি জায়গা থেকে ট্রাক ভর্তি করে চীনা মাটি নেয়া হচ্ছে। এসব দেশের বিভিন্ন সিরামিকস ফ্যক্টরিতে পাঠানো হবে।
কয়েক বছর আগে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর প্রতিনিধিদল হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর ও বাহুবল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাটি পরীক্ষা করে খনিজ মাটি হিসেবে গ্যাজেট প্রকাশ করে।
মাধবপুর উপজেলার গ্যাজেটভুক্ত এলাকাগুলো থেকে এ মাটি পাচার হলেও স্থানীয় প্রশাসন নিবর ভূমিকা পালন করছে।
খনিজ মাটি পাচার রোধ করার বিষয়ে কালিকাপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দেব’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজেকে ‘মাটি বিশেষজ্ঞ নন’ দাবি করেন। তাই পাচার রোধে ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে ঢাকাটাইমসকে জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) টিনা পাল ঢাকাটাইমসকে জানান, মাটি ভর্তি ট্রাকের খোঁজে গিয়ে সেটি আর পাওয়া যায়নি। পুনরায় এমন হলে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
(ঢাকাটাইমস/০৩জানুয়ারি/প্রতিনিধি/ইএস)