চলনবিলের শুটকি ব্যবসায় প্রয়োজন সরকারি সহায়তা
সুস্বাদু ‘মাছের ভাণ্ডার’ দেশের সবচেয়ে বড় বিল চলনবিলের শুটকির ব্যাপক চাহিদা থাকলেও নানা কারণে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না শুটকি মাছের ব্যবসা। পর্যাপ্ত পুঁজির অভাব আর সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের। সরকারের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের মাধ্যমে শুটকি মাছ থেকে প্রতিবছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সুস্বাদু দেশীয় মাছের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত দেশের বৃহত্তম চলনবিল অঞ্চল। যেখানে চলছে, দেশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শুকিয়ে শুটকি তৈরির কাজ। অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি এই চার মাস প্রচুর পরিমাণ মাছ ধরা পড়ে বিলে। চলনবিলের চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলায় দেশি প্রজাতির নানারকম সুস্বাদু মাছ দিয়ে তৈরি হচ্ছে শুটকি। শুটকি মাছের ব্যবসা করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে অন্তত ৩ শতাধিক মানুষের।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলনবিলের শুটকি মাছের বেশ কদর রয়েছে। চলনবিলের শুটকি প্রথমে সৈয়দপুরে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকে চলে যায় সারাদেশে।
পাবনার চাটমোহর বণিক সমিতির সভাপতি বেলাল হোসেন স্বপন বলেন, পুঁজির অভাব আর মাছ সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় অনেক চাতাল ব্যবসায়ীদের টানতে হচ্ছে লোকসানের বোঝা। তাদের দাবি, সরকারের তরফে সুদমুক্ত ঋণ আর শুটকি সংরক্ষণের ব্যবস্থা।
যথাযথ প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের মাধ্যমে মানসম্মত শুটকি উৎপাদনে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানালেন পাবনা জেলা মৎস্য কর্মকতা মো. গোলাম রাব্বানী।
মৎস অফিস জানায়, এ বছর পাবনা জেলায় শুটকি মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১৫০ মেট্রিক টন।
(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/প্রতিনিধি/এলএ)