সাংবাদিকের প্রশ্নে উত্তেজিত ওসি

সৈয়দ মাহ্ফুজ রহমান, পিরোজপুর প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২২:৩৭

পিরোজপুরে বিএনপির দলীয় কার্যালয় ও জেলা বিএনপির সভাপতির বাসা থেকে নেতাকর্মীদের সময় বেধে দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এটি অনুমতি নেওয়ার মতো কোনো দলীয় কর্মসূচি ছিলো না বলে দাবি বিএনপি নেতাদের। অপরদিকে পুলিশ বলছে, অনুমতি ছাড়া কর্মসূচি পালন করলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।

এ ব্যাপারে সাংবাদিকের এক প্রশ্নে উত্তেজিত হয়ে পড়েন পিরোজপুর (সদর) থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুমুর রহমান। উত্তেজিত এই কর্মকর্তা প্রশ্নকারী সাংবাদিককে জানান, এ প্রশ্নের উত্তর দিতে তিনি বাধ্য নন। আবার কেন প্রশ্ন করেন।

জানা গেছে, রবিবার বেলা সাড়ে ১০টার জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দের সাথে নিয়মিত বৈঠকের অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে দলের সভাপতি ও সাবেক এমপি গাজী নুরুজ্জামান বাবুল, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আলমগীর হোসেনসহ সহ-সভাপতি ও নাজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খাঁন, অ্যাড. আবুল কালাম আকন, পৌর কাউন্সিলর আব্দুস সালাম বাতেন, কর্নেল শাহজাহান মিলন, এমএজি আলিম, মিলন খাঁনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ আলোচনা করছিলেন।

এসময় পুলিশের একটি দল জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ঢুুকে ১০ মিনিটের মধ্যে স্থান ত্যাগের নির্দেশ দেয়। সভাপতি ও সাবেক এমপি গাজী বাবুল পুলিশকে এমন নির্দেশের কারণ ও রাজনীতি নিষিদ্ধ কিনা জানতে চাইলে ওসির নির্দেশ বলে জানান পুলিশ সদস্যরা।

সভাপতি পুলিশি ঝামেলা এড়াতে দলীয় কার্যালয় ত্যাগ করে মঠবাড়িয়া উপজেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দকে পরে তার কলেজ রোডের বাসায় নিয়ে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু পুনরায় পুলিশ তার বাসায় গিয়ে একইভাবে দ্রুত স্থান ত্যাগের নির্দেশ দেয়।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি গাজী নুরুজ্জামান বাবুল রবিবার বিকেলে ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমরা কোনো জনসভা, কেন্দ্র ঘোষিত কোনো সভা-সমাবেশ, কারো মৃত্যু বা জন্ম বার্ষিকীও পালন করছিলাম না।

মঠবাড়িয়ার উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ স্থানীয় দলীয় বিষয় নিরসনের জন্য জেলা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার জন্য এসেছিলেন। আমরা বিএনপি কার্যালয়ে ঘরোয়া ও সুষ্ঠু পরিবেশে আলোচনার জন্য বসি। এসময় পুলিশের একটি ভ্যান ও ৪/৫টি মোটরসাইকেল যোগে একদল পুলিশ দলীয় কার্যালয়ে এসে “গো-গোল”-এর অজুহাত তুলে দশ মিনিটের মধ্যে স্থান ত্যাগ করতে বলেন। পুলিশ সদস্যদের- এর কারণ জানতে চাইলে ‘ওসি’র নির্দেশ আছে বলে জানান। এক পর্যায় মেহমানদের (মঠবাড়িয়া নেতৃবৃন্দ) আমার বাসায় নিয়ে বসি। এর মিনিট বিশেক পর পুলিশ আমার বাসায় গিয়ে একই কায়দায় দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বলেন।

তিনি আরো বলেন, পুলিশের আচরণ যেমন, তেমনি করেছে। পিরোজপুরের পুলিশ স্বৈরাচার শাসনকেও হার মানিয়েছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধা, নাম লেখানো মুক্তিযোদ্ধা নই, কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা, কোনো রাজাকারও নই।

এ বিষয়ে পিরোজপুর (সদর) থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুমুর রহমানের ঢাকাটাইমস প্রতিবেদককে বলেন, কেউ যদি অনুমতি ছাড়া কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করেন, তবে পুলিশ তাদের দ্বায়িত্ব পালন করবে।

বিএনপি’র জেলা নেতৃবৃন্দের অভিযোগ অনুযায়ী কোনো জনসভা নয়, কেন্দ্র ঘোষিত কোনো কর্মসূচিও নয়, ছোট পরিসরে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা করছিলেন।

পুলিশি অনুমতি নেয়ার মতো কার্যক্রম তারা পরিচালনা করেছেন কি- এমন প্রশ্নে ওসি রেগে গিয়ে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি আপনাকে এর জবাব দিতে বাধ্য নই। আবার কেন প্রশ্ন করেন?

(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

রিভিউয়ের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায় নিয়ে আসা হবে: সিসিক মেয়র

এসএসসির ফলাফলে গোপালগঞ্জ জেলায় তৃতীয় রাবেয়া-আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ

নড়াইলে বজ্রপাতে স্কুলছাত্র ও গাভীর মৃত্যু

টানা দ্বিতীয়বার ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন মিরাজুল ইসলাম

সালথায় ১২ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদককারবারি গ্রেপ্তার

সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সিরাজদিখান রিপোর্টার্স ইউনিটির মানববন্ধন 

সোনারগাঁয়ে দুই কোটি টাকার ইয়াবাসহ কারবারি গ্রেপ্তার

এসএসসিতে যশোর বোর্ডে সেরা সাতক্ষীরা

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :