লালমনিরহাটে শিক্ষার্থী পিটিয়ে শিক্ষক বহিষ্কার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৯:৩৪

ক্লাসের পড়া তৈরি করে না আসার অপরাধে ছাত্রছাত্রীদের বেধড়ক পিটিয়েছেন এক শিক্ষক। এই পিটুনিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে তিন শিক্ষার্থী। মারপিটের এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা সোমবার স্কুলে তালা ঝুলিয়ে প্রতিবাদ জানালে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জেলা শিক্ষা বিভাগ।

ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার পানি খাওয়ার ঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত রবিবার দুপুর ২টার দিকে শিক্ষক আব্দুল কাদের খান পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি বিষয়ে ক্লাস নিচ্ছিলেন। এ সময় ক্লাসে উপস্থিতি অধিকাংশ শিক্ষার্থী পড়া না পাওয়ার কারণে সবাইকে মারপিট শুরু করেন। এ সময় তার বেধড়ক মারপিটে রিনা আকতার, তৃঞ্চা রানী ও বিউটি রানী নামের তিন ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় অবস্থা বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি স্কুলের পাশের এক বাড়িতে নিয়ে ওই তিন ছাত্রীর চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে অভিভাবকরা খবর পেয়ে তাদের সন্তানদের বাড়িতে নিয়ে যান। এখন ওই তিন ছাত্রী তাদের নিজ বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছে।

মারপিটের এ ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মিঠুন বর্ম্মন। তিনি ছাত্রছাত্রীদের কাছে সমস্ত বিষয় জেনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেন। সে অনুযায়ী সোমবার লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নবেজ উদ্দিন অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেন।

এদিকে সোমবার অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা। এসময় তারা স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষকের সাময়িক বরখাস্তের খবরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল কাদের খান বলেন, প্রতিদিন ওই তিন ছাত্রী পড়াশোনা না করেই বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করত। সে কারণে তিনি তাদের সামান্য মারপিট করেছেন বলে স্বীকার করেন।

পানি খাওয়ার ঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) খগেন্দ্র নাথ রায় বলেন, শিক্ষক আব্দুল কাদের খান শিক্ষার্থীদের সাথে যেমনটি করেছেন তা তিনি একজন শিক্ষক হিসেবে কোনোভাবেই করতে পারেন না।

কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, ঘটনা শুনতে পাওয়ার পর-পরই তিনি সহকারী শিক্ষা অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে রিপোর্ট করতে বলেন। সে অনুযায়ী রিপোর্ট পাওয়ার পর তিনি দায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে সুপারিশ করেন এবং দায়ী শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশনা সংক্রান্ত একটি পত্র পান বলে জানান তিনি।

লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন বলেন, নির্যাতিনকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :