বিচারপ্রার্থীকে মারধর: আইনজীবী আজীবন বহিষ্কার

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২১:৪৫

আইনজীবী পরিবর্তনের জের ধরে বিচারপ্রার্থী (মক্কেল)কে মারধরের ঘটনায় এক আইজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ঐ আইনজীবীর নাম তৌহিদ আহমদ চৌধুরী দবির।

বৃহস্পতিবার বিকালে সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্তে সকলের সম্মতিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরেক আইনজীবী জুনেদ আহমদ ক্ষমা চেয়ে শাস্তি থেকে রেহাই পেয়েছেন। তবে তাকে পরবর্তীতে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

আইনজীবী সমিতির দেয়া তথ্য অনুযায়ী বহিষ্কৃত আইনজীবী তৌহীদ আহমদ চৌধুরী দবির আর কখনো সুনামগঞ্জের কোনো আদালতে আইন পেশায় কাজ করতে পারবেন না। তবে জেলার বাইরে অন্য কোনো জেলায় অ্যাডভোকেট হিসেবে তিনি আদালতে কার্যক্রম চালাতে পারবেন।

আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা যায়, দুই আইনজীবী কর্তৃক মারধরের শিকার হওয়া বিচারপ্রার্থী মজিবুর রহমান জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের চাইরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একটি জিআর মামলার আসামি। বেশ কিছুদিন ধরে তার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছিলেন আইনজীবী জুনেদ আহমেদ ও তৌহিদ আহমেদ চৌধুরী দবির। গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে ওই মামলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হলে মজিবুর রহমান আইনজীবী পরিবর্তন করেন। তিনি নতুন করে অ্যাড. আবুল আজাদ রুমানকে আইনজীবী নিয়োগ করেন।

এ ঘটনায় গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে আইনজীবী জুনেদ আহমেদ ও তৌহিদ আহমেদ চৌধুরী বিচারপ্রার্থী মজিবুর রহমানের কাছে আইনজীবী পরিবর্তনের কারণ জানতে চাইলে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এক পর্যায়ে তারা জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের ভেতরে মজিবুর রহমানকে মারধর করেন। এ ঘটনায় মারধরের শিকার মজিবুর রহমান বিচার চেয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়ে জেলা আইনজীবী সমিতি অ্যাড. শফিকুল আলমকে আহ্বায়ক এবং অ্যাড. মল্লিক মঈন উদ্দিন আহমেদ সোহেল এবং অ্যাড. মোহাম্মদ মানিককে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পায় কমিটি।

অ্যাড. জুনেদ আহমদ ওই দিনের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমাপ্রার্থী হলেও শহরের আরপিননগর এলাকার অ্যাডভোকেট তৌহিদ আহমদে চৌধুরী দবির তার নিজের ভুল স্বীকার না করে উল্টো প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে নিজের সাফাই গাইতে থাকেন। এতে জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবীরা সকলের সর্বসম্মতিক্রমে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন।

সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল হক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মজিবুর রহমান নামে একজন বিচারপ্রার্থীকে মারধরের ঘটনার তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় দুইজন আইনজীবীকেই ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হয়। এসময় একজন নিজের ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাইলে তাকে সতর্ক করে দেয়া হয়। অন্যজন্য নিজের অবস্থানে থেকে নিজের ভুল স্বীকার করতে অনিহা প্রকাশ করেন। এতে সমিতির সাধারণ সভার সকলের সর্বসম্মতিতে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে’।

(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :