প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি: তদন্ত প্রতিবেদন ২৯ মার্চ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে ত্রুটি ধরা পড়ার মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৯ মার্চ নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী এই তারিখ ধার্য করেন।
মামলাটিতে ১১ আসামি কারাগারে রয়েছেন। এরা হলেন, বিমানের ইঞ্জিনিয়ার অফিসার নাজমুল হক, জুনিয়র টেকনিশিয়ান শাহ আলম, বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক ও প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ডসিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা সামিউল হক, লুৎফর রহমান, বিমল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন, প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরে বিমানটি তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে। সেখানে ত্রুটি সারিয়ে চার ঘণ্টা পর বুদাপেস্টের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বিমানটি।
ওই বিমানের ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাঙ্কের একটি নাট ঢিলা হওয়ার পেছনে নাশকতা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে ২৮ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের কমিটি করে বিমান মন্ত্রণালয়। ঘটনা তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আরও দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
দুই কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর রাতে বাংলাদেশ বিমানের প্রধান প্রকৌশলীসহ নয়জনকে আসামি করে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এমএম আসাদুজ্জামান। পরে আসামিদের বরখাস্ত করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/আরজে/এমআর)