শেষ দিনের বইমেলায় সময় বাড়ল চার ঘণ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২১:৪১| আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২১:৪৩
অ- অ+

শেষ হচ্ছে বাঙালির প্রাণের মেলা। আগামীকালই ভাঙছে মাসব্যাপী এই মিলনমেলা। শেষ দিন উপলক্ষে মঙ্গলবার মেলার সময় চার ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে।

বাংলা একাডেমি আয়োজিত মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ জানান, কাল মেলা বিকাল তিনটার পরিবর্তে বেলা ১১টায় শুরু হবে এবং চলবে একটানা রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।

সদস্য সচিব জানান, প্রকাশকদের দাবির মুখে সমাপনী দিনে মেলা চার ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। এতে যেসব পাঠক এখনো মেলায় আসতে পারেননি, তারা চার ঘণ্টা সময় বেশি পাবেন।

আগামীকাল একাডেমির মূল মঞ্চে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২০১৭-এর সমাপনী অনুষ্ঠান হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. ইব্রাহীম হোসেন খান। সভাপতিত্ব করবেন ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।

শুভেচ্ছা বক্তৃতা দেবেন একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। গ্রন্থমেলার প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন গ্রন্থমেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ।

আজ একুশে গ্রন্থমেলায় নতুন বই এসেছে ১৫৫টি এবং ৪০টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

মেলা চত্বর ঘুরে আজ দেখা গেছে, বড় প্রকাশনা সংস্থার স্টলগুলোতে ক্রেতার উপচেপড়া ভিড়। পছন্দের বইটি কিনতে সবাই ব্যস্ত। যারা মেলা প্রাঙ্গণ ছেড়ে যাচ্ছেন, তাদের সবার হাতেই বইয়ের ব্যাগ। ঐতিহ্য প্রকাশনীর কর্ণধার আরিফুর রহমান নাঈম জানান, এবার বিক্রি গত বছরের চেয়ে বেশি হয়েছে। আগামীকালও বেশ ভালো বিক্রি হবে বলে তিনি জানান।

বিকালে গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশের প্রকাশনা: গ্রন্থ পরিকল্পনা ও সম্পাদনা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস প্রকাশক মহিউদ্দিন আহমেদ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তারিক সুজাত। আলোচনায় অংশ নেন মফিদুল হক, বদিউদ্দিন নাজির এবং খান মাহবুব।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে ভালোমানের বই প্রকাশের জন্য প্রকাশনার জগতে দক্ষ জনশক্তি ও অধিক বিনিয়োগ দুটিই প্রয়োজন। সেই সাথে জাতীয় গ্রন্থনীতি ও গ্রন্থাগারনীতি বাস্তবায়ন করাও অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে।

আলোচকরা বলেন, আমাদের দেশে ভালো পাণ্ডুলিপির যেমন অভাব রয়েছে, তেমনি যথাযথ সম্পাদনার অভাবে ভালো পাণ্ডুলিপি থেকেও অনেক সময় ভালোমানের বই প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। সেই সাথে প্রকাশকের বিনিয়োগ সীমাবদ্ধতা, দক্ষ জনশক্তির অভাব ও বাজার অব্যবস্থাপনা প্রকাশনা শিল্পের বিকাশকে ব্যাহত করেছে। তারা বলেন, বই প্রকাশনার মূলভিত্তি পাঠক-চাহিদা আর পাঠকসংখ্যা বৃদ্ধি না পেলে প্রকাশনার মান রক্ষা করে ব্যয় নির্বাহ করা প্রকাশকের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল প্রবীর দত্তর নির্দেশনায় এবং গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমির পরিবেশনায় নাটক মুনীর চৌধুরী।

বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদের ওপর মৌলবাদী চক্রের সন্ত্রাসী হামলার ১৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে একুশে গ্রন্থমেলায় আজ বিকালে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় মূল বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, সুভাষ সিংহ রায়, মারুফ রসূল, শাহাদাৎ হোসেন নিপু প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন আগামী প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী ওসমান গনি।

বক্তারা বলেন, হুমায়ুন আজাদ হত্যার বিচার অবিলম্বে করতে হবে এবং তাঁর আদর্শে মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমাজ-রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে তাঁকে স্মরণ করতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
চলেই গেল শিশু আছিয়া, সেনাবাহিনীর শোক প্রকাশ
চাঁদপুর নৌ পুলিশের অভিযানে ১৬ জেলে আটক
আরও দুই মাস বাড়লো সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবসরে যা বললেন সাকিব
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা