মামলাবাজ সিকদার লিটন: ৩ মাসে শুধু বিকাশেই লেনদেন সাড়ে ২২ লাখ, প্রতারণার টাকায় মানিলন্ডারিং!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৫ মার্চ ২০২৫, ২১:৩৭| আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৫, ২২:২২
অ- অ+

মামলাবাজ সিকদার লিটনের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। শহীদ হয়েছেন অপরিচিত কেউ, কিন্তু মামলার বাদী সিকদার লিটন। এসব মামলার ভয় দেখিয়ে দেদারছে চালিয়েছে চাঁদাবাজি।

নানা অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে বারবার কারাগারে থাকতে হয়েছে অসংখ্য মামলার এই আসামিকে। কিন্তু সরকার পতনের পর জেল থেকে বেরিয়ে এসেই জুলাই হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন মামলার বাদী হচ্ছে সিকদার লিটন। তার পক্ষ থেকে সাজানো মামলা করা হচ্ছে একের পর এক। এসব মামলার টার্গেট ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, স্বচ্ছল পেশাজীবীসহ সমাজের নানা শ্রেণির মানুষ। প্রথমে বানোয়াট মামলার প্লট তৈরি করা হয়। সেখানে সম্ভাব্য আসামির তালিকা প্রস্তুত করে, এরপর সেই তালিকা ধরে ধরে ফোন করে দাবি করা হয় চাঁদা।

মামলা থেকে বাঁচতে অনেকেই ভয়ে অর্থ দিয়েছেন প্রতারক সিকদার লিটনকে। এসব অর্থ লেনদেন হতো বিকাশসহ নগদ ও রকেট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, শুধু গত তিন মাসেই প্রতারক লিটনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে সাড়ে ২২ লাখ টাকা। অর্থ ঢুকেছে বিদেশ থেকেও। অবশেষে চিহ্নিত এই দাগি আসামিকে বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তার করেছে ফরিদপুরের ডিবি পুলিশ।

পুলিশের তালিকায় চিহ্নিত এই সিকদার লিটন কীভাবে মামলা বাণিজ্য করে, একটি উদাহরণ দিলেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। গত ৫ আগস্ট ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মো. জাবেদ। এই ঘটনার সাড়ে চার মাস পর গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালতে মামলার আবেদন করে সিকদার লিটন। সে নিজেও ঘটনার সময় ওই কারাগারে বন্দি ছিল।

ভুক্তভোগী মারা গেছেন কিনা এবং এই ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে থানাকে প্রতিবেদন দিতে বলেন আদালত। এ বিষয়ে সংবাদ প্রচার হলে বিষয়টি নজরে আসে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের। নিহতের স্বজনদের দাবি, সিকদার লিটনকে তারা চেনেনই না। আর অচেনা ব্যক্তি সিকদার লিটন কীভাবে হত্যা মামলার আবেদন করে বসলো, তাও তারা জানেন না।

ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, তারা নানাভাবে জানতে পেরেছেন সিকদার লিটন বিভিন্নজনকে ফোন করে মামলা বাণিজ্য করেছে। টাকা না দিলে হত্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হবে- এমন ভয় দেখিয়েছে অনেককে। অথচ সিকদার লিটনের সঙ্গে ভিকটিমের পরিবারের ন্যূনতম সম্পর্কও নেই। তবে সাজানো এই মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার শর্তে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, স্বনামধন্য ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদসহ অনেকের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেছে প্রতারক সিকদার লিটন।

একটি গোয়েন্দা সংস্থা সিকদার লিটনের ব্যবহার করা বিকাশ নম্বর পর্যালোচনা করেছে। সেখানে দেখা গেছে, গত তিন মাসে প্রতারক লিটনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে প্রায় সাড়ে ২২ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দুই দফায় রেমিট্যান্সের আড়ালে বিদেশ থেকে ঢুকেছে এক লাখের বেশি টাকা। এসব টাকা সিকদার লিটন বিভিন্ন সময় উত্তোলনও করে নিয়েছে। এছাড়া তার ব্যবহৃত নগদ ও রকেট অ্যাকাউন্টেও বিপুল অর্থের সন্ধান মিলেছে।

কারাগারে নিহত জাবেদের খালাতো ভাই পরিচয়ে মামলা করে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্যের ঘটনায় সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন নিহতের ভাই মো. মাইনুদ্দীন। এরপর পুলিশ তদন্তে নামার পর সিকদার লিটনের ভয়ংকর প্রতারণার ঘটনা বেরিয়ে আসে। মামলা বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার প্রক্রিয়া শুরু করে পুলিশ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সিকদার লিটনের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার টগরবন্দ ইউনিয়নে। এলাকায় সবাই তাকে প্রতারক হিসেবেই চেনে। নিজের বাবা-মা মারা গেলেও তাদের শেষবারের মতো দেখতে যেতে পারেনি এই প্রতারক। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষজনও অতিষ্ঠ। নিজের শ্বশুরকেও পাঁচটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে সিকদার লিটন।

২০২০ সালে ১৯ অক্টোবর প্রতারণার মামলায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে সিকদার লিটনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সেসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে প্রায় এক ডজন মামলা এবং দুই ডজন জিডির তথ্য মিলেছে। যার মধ্যে হত্যাচেষ্টা, নারী নির্যাতন, প্রতারণা ও সাইবার মামলা অন্যতম।

প্রায় চার বছর পর গত অক্টোবরে জামিনে কারামুক্ত হয় সিকদার লিটন। তবে আগে থেকে তার ছিল না নির্দিষ্ট কোনো উপার্জন। কখনো সাংবাদিক, কখনো সরকারি চাকরিজীবী- নানা ধরণের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে মানুষকে ঠকানোই ছিল তার প্রধান কাজ। স্থানীয় অনেককে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছিল এই প্রতারক। স্থানীয় আঞ্জিরা বেগম নামে এক নারীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন হাজতবাস থাকতে হয় তাকে।

সর্বশেষ অক্টোবরে জেল থেকে বেরিয়ে পুনরায় প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনে নেমে পড়ে সিকদার লিটন। সম্প্রতি ফরিদপুর ও ঢাকায় পাঁচটির মতো মামলার আবেদন করেছে সিকদার লিটন। এসবের মধ্যে হত্যা, চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলা রয়েছে। এই মামলাগুলোকে পুঁজি করে সমাজের প্রতিষ্ঠিত ও প্রবাসীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো ভয়ংকর এই প্রতারক।

গত ১৩ জানুয়ারি আবু নাসির ও আব্দুল আজিজ নামে ফরিদপুরের দুজন ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সিকদার লিটন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ফরিদপুরের একটি বেসরকারি ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে ওই ব্যাংকের দুজন কর্মকর্তা তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, তার (লিটনের) অ্যাকাউন্টে সমস্যা আছে এবং সেটা ঠিক করে দেওয়া হবে বলে এই টাকা দাবি করা হয়। ওই ঘটনায় নিজের স্ত্রী সুমনা আক্তার সাথী ও শ্যালক নিশাদ মুন্সীসহ কয়েকজনকে সাক্ষীও বানানো হয়।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. একরামুল হাবীব বলেন, ‘একটা মানুষের প্রকাশ্যে উপার্জনের কোনো সোর্স নেই, কিন্তু তার মোবাইলে লাখ লাখ টাকা লেনদেন হচ্ছে। এই টাকা কীভাবে আসছে বা তাকে ব্যবহার করে বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে কিনা, যাচাই করা যেতে পারে।’

দেশে বিভিন্ন জায়গায় এই ধরণের মামলাবাজদের হয়রানির শিকার হয়েছেন প্রখ্যাত আইনজীবী জেড আই খান পান্না নিজেও। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মিথ্যা মামলা মিথ্যা মামলাই। ফলস কেইস। আমাদের দেশে এটা এখন রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় পর্যায়ের একটা সমস্যা।’

মামলাবাজদের উদ্দেশে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘একেকটা মিথ্যা মামলায় অজ্ঞাত ৩০০/৪০০ লোক। অজ্ঞাত হলে যে কাউকেই ধরতে পারে পুলিশ। আপনাকেও পারে, আমাকেও পারে। আসামি বাদীকে চেনে না, বাদী আসামিকে চেনে না, সাক্ষীও চেনে না- এই রকমও হচ্ছে।’

এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যারা এসব মামলা বাণিজ্য করছে, তারা অন্যায় করছে। দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবশ্যই উচিত কিছু চাঁদাবাজকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা। কারণ, এ ধরণের অপরাধীদের কাছে দৃষ্টান্ত নেই যে, অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হয়। কাজেই সমাধান এটাই, যারা এসব মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে লিপ্ত, তাদেরকে শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারকে এটা অবশ্যই করতে হবে। কারণ এটা অপরিহার্য।‘

সিকদার লিটনের মামলা বাণিজ্য ও বিকাশ লেনদেনের বিষয় জেনে আশ্চর্য টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, ‘এসব অপরাধীদের প্রথমেই চিহিৃত করা সম্ভব। কারণ, তারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা লেনদেন করছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহায়তায় অপরাধীদের শনাক্ত করাও সম্ভব। যারা অপরাধ করে, তারা কোনো না কোনো ক্লু রেখে যায়। আর যারা এসব করছে, তারাও মোটামুটি চিহ্নিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা এসব অপরাধীদের মাধ্যমে ভিকটিম হচ্ছে, তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা আদালতকে অবহিত করতে পারছেন না। কারণ, তারা পুনরায় হয়রানি হওয়ার আশঙ্কা করেন।’

বিকাশ পর্যালোচনা করে যা দেখা গেল

গত নভেম্বর থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিকদার লিটনের বিকাশ নম্বরে ১৯৪টি লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ৫ নভেম্বর পৃথক নম্বর থেকে তার মোবাইলে প্রায় ৯৭ হাজার টাকা ঢুকেছে। এছাড়া ৯ নভেম্বর ৫০ হাজার টাকা আসে তার নম্বরে। এরপর ১২ নভেম্বর ৮৫ হাজার, ১৭ নভেম্বর ২৫ হাজার টাকা আসে। ডিসেম্বরের ৩ তারিখ লিটনের মূল ব্যালেন্স ছিল ৩ টাকা ৯৩ পয়সা। তবে ৪ ডিসেম্বর বিদেশ থেকে (রেমিট্যান্স রিসিভ) ৫১ হাজার ২৫০ টাকা। ১০ ডিসেম্বর পুনরায় বিদেশ থেকে সিকদার লিটনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে ঢোকে ৫১ হাজার ২৫০ টাকা। এরপর দফায় দফায় মোটা অঙ্কের টাকা ঢোকে তার বিকাশ নম্বরে। যার মধ্যে ১৩ জানুয়ারি একটি বিকাশ এজেন্ট নম্বর থেকে ১ লাখ ৪ হাজার টাকা আসে লিটনের অ্যাকাউন্টে। সর্বশেষ ২৪ ফেব্রুয়ারি তার বিকাশ অ্যাকাউন্টে তিন দফায় প্রায় অর্ধলাখ টাকা আসে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তার বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায়। এলাকাজুড়ে তার ব্যাপক সুনাম রয়েছে। এক দিন এই ব্যবসায়ীর মোবাইলে ফোন করে সিকদার লিটন।

ওই ব্যবসায়ীকে প্রতারক সিকদার লিটন বলে, কারাগারে একটি হত্যা হয়েছে, সেখানে আপনি নির্দেশদাতা। যদি আপস করেন, তাহলে মামলায় আপনার নাম যাবে না। পরবর্তীতে বিভিন্ন কৌশলে ওই মামলা থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়াতে সক্ষম হন ওই ব্যবসায়ী।

এদিকে ফরিদপুরে সিকদার লিটনের করা চাঁদাবাজির মামলায় বেছে বেছে তার প্রতিপক্ষদের আসামি করেছে। ওই মামলার আসামি হয়েছেন নাঈম ইসলাম নামে একজন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘চাকরি সূত্রে সারাজীবন থাকলাম ঢাকায়। এখন শুনছি সিকদার লিটন আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেছে। মূলত সে কারাগার থেকে বের হয়ে আমার কাছে টাকা চেয়েছিল। এখন বুঝছি, ওই টাকা না দেওয়ার কারণে আমার নামে মামলা দিয়েছে।’

আরও গুরুতর যেসব অভিযোগ

২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি পাবনার আমিনপুর থানায় সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন ইন্দ্রজিত শীল নামে একজন ব্যবসায়ী। মামলাটি তদন্ত করে আমিনপুর থানা পুলিশ, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি ও দুদক। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। সিকদার লিটন কমিশনের মাধ্যমে পাবনা থেকে ভুসা মাল (ভুট্টা, চিনাবাদাম ও গম) সংগ্রহ করে দেওয়ার কথা বলে ব্যবসায়ী ইন্দ্রজিত শীলের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা নেয়। পরে মাল বা টাকা ফেরত না দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ রাখে। এরপর থানায় মামলা করেন ওই ব্যবসায়ী।

২০১৮ সালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন-বিআইডব্লিউটিসিতে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে নাজমুল নামে একজনের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেয় এই প্রতারক। গরু বিক্রি ও জমি বন্ধক রেখে লিটনকে টাকা দেন তিনি। কিন্তু ভুক্তভোগী নাজমুল চাকরি পাননি, ফেরত পাননি টাকাও। দীর্ঘদিন প্রতারক লিটনের কাছে ধরনা দিলেও টাকা তো দূরে থাক, এখন উল্টো নাজমুলকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার পল্লবী, কলাবাগান থানায় চাঁদাবাজি ও সাইবার অপরাধে একাধিক মামলা হয়েছে সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে। এছাড়া ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা ও কোতোয়ালিসহ বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে রয়েছে বেশ কয়েকটি মামলার রেকর্ড।

(ঢাকাটাইমস/৫মার্চ/এসএস/এজে/আরবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বেনাপোল সীমান্তে পিস্তল-গুলি উদ্ধার
প্রবাসী ছেলের মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে মাকে অপহরণ
বিমানের বিশেষ সুবিধা ফিরিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া
শ্রমিক দলের মোহাম্মদপুর এবং ভাটারা থানার সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা