সাদি মহম্মদের আত্মহত্যার এক বছর, কোন বেদনা নিয়ে চলে যান শিল্পী?

দেশের খ্যাতিমান রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের মৃত্যুর এক বছর আজ। গত বছরের ১৩ মার্চ রাতে তিনি নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন। দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় ঝুলন্ত মরদেহ। কোন বেদনা নিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন এই গায়ক।
এ সম্পর্কে সে সময় নিশ্চিতভাবে কিছু জানা না গেলেও শিল্পীর স্বজন নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নীপা জানিয়েছিলেন, সাদি মহম্মদের মা মারা যাওয়ার পর থেকেই তিনি একটা ট্রমার মধ্যে চলে যান। ঠিক স্বাভাবিক ছিলেন না মানসিকভাবে।
শামীম আরা নীপা বলেছিলেন, মা হারানোর বেদনা সম্ভবত নিতে পারেননি সাদি মহম্মদ। এভাবেই চলছিল। মৃত্যুর দিন রোজা রাখলেন তিনি, সন্ধ্যায় ইফতারও করলেন স্বাভাবিকভাবে। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরই নীরবে চলে যান না ফেরার দেশে।
এর আগে ২০২৩ সালের ৮ জুলাই সাদি মহম্মদের মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ (৯৬) বার্ধ্যক্যজনিত কারণে মারা যান। মা হারিয়ে দারুণভাবে ভেঙে পড়েছিলেন শিল্পী।
সাদি মহাম্মদ রবীন্দ্রসংগীতের ওপরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৭ সালে ‘আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে’ অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে তার ‘শ্রাবণ আকাশে’ ও ২০১২ সালে ‘সার্থক জনম আমার’ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।
এছাড়া সাদি মহাম্মদ সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘রবিরাগ’-এর পরিচালক ছিলেন। ২০১২ সালে তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দেয় চ্যানেল আই। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি তাকে রবীন্দ্র পুরস্কার প্রদান করে।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হত্যা করে সাদির বাবা সলিমউল্লাহকে। তার বাবার নামে ঢাকার মোহাম্মদপুরের সলিমউল্লাহ রোডের নামকরণ করা হয়েছে। সাদি মহাম্মদের ভাই শিবলী মোহাম্মদ বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী।
(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/এজে)

মন্তব্য করুন